শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছেলের লাথিতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের শংকরঘোষ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত সুরুজ আলীর (৭০) তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে বাবা সুরুজ আলীর সব সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। ছেলে বিল্লাল হোসেনের অত্যাচারে নিহত সুরুজ আলী ও ছোট ছেলে আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘ দিন ধরে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে আব্দুল কুদ্দুস বাড়িতে এলে বিল্লালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিকেলে সুরুজ আলী শংকরঘোষ বাজারে এলে বিল্লাল হোসেন তার বাবার ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করেন।
এ সময় বিল্লালের লাথির আঘাতে বাবা সুরুজ আলী মাটিতে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে কৌশলে বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
নিহত সুরুজ আলীর মেয়ে ইসমত আরা বলেন, ‘আমার বাবাকে বড় ভাই দেখবার পারতো না। বাবারে দেখলেই মারবার আসতো, এজন্য মাইনষে বলতো বিল্লাল পাগলা। আইজকে বিল্লাল আমার বাবারে মাইরাই ফেললো।’
নিহতের ছোট ছেলে কুদ্দুস আলী বলেন, আমার বড় ভাইয়ের সাথে মাঝে মাঝেই জমি-জমা নিয়ে ঝগড়া লাগতো। তার অত্যাচারে আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে এক মাস থেকে অন্যের বাড়িতে বসবাস করছি। আজ দুপুরে আমার সাথে ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়।
শ্রীবরদী থানার এসআই নাজমুল আমিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করেছি। সুরতহালে দু’হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, লাশ উদ্ধার করা করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।