কুকুরের কামড়ে তিন দিনে শিশু সহ ৭ জন আহত
শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি।।
বগুড়ার শেরপুর পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলি-গলিতে দিন দিন বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বাড়ছে। কুকুর নিধনে নেই কোন পদক্ষেপ। আতংকে রয়েছে পৌরবাসীসহ শহরে চলাচলরত সাধারণ মানুষেরা। এমন ঘটনায় পৌর শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় গত তিন দিনে কুকুরের কামড়ে ৭ জন আহত হয়েছে। আহত সাজেদা বেগম (৭০), ছামুদা পারভিন (৭), মনির (৪), মোমিনুল হাসান(৪৭) সহ অজ্ঞাত আরো তিন জন চিকিৎসারত রয়েছেন।
জানা যায়, পৌর শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় ড্রেনের ময়লা আবর্জন ও খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখার পর তা সময় মত পৌর কর্তৃপক্ষ পরিস্কার না করায় সেখানে কুকুরের বিচরণ অবাধে চলে। রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় গত তিন দিনে ওই এলাকার বাসিন্দা সাহেব আলীর মেয়ে সাজেদা বেগম, মো. শরিফের মেয়ে ছামুদা পারভিন, রায়হানের ছেলে মনির, শহিদুল ইসলামের ছেলে মোমিনুল হাসান সহ অজ্ঞাত আরো তিন জনকে কামড়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় কুকুর আতংকে রয়েছে পৌরবাসি। দ্রুত এর ব্যবস্থা না নেয়া হলে কুকুরের কামড়ে আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধির ঘটনা শুধু একটি ওয়ার্ড বা নির্দিষ্ট পাড়ায় নয়, পুরো শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে রয়েছে এদের অবাধ বিচরণ। কুকুর আতঙ্কে ভয়ে ভয়ে পথ চলাচল করছে সাধারণ মানুষেরা।
এ ব্যাপারে ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন, খন্দকার পাড়ার ঘটনাটা আমি শুনেছি। আমাদের এই ওয়ার্ডবাসিকেও প্রতিদিন কুকুর আতংক নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এই বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে শিক্ষক মোজাফফর আলী জানান, আমি সহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক কুকুর কামড়ে দেয়ার ভয়ে বাচ্চাদের ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছিনা।
এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল বলেন, সাদা একটি কুকুর পাগলা হয়ে কয়েকজনকে কামড় দিয়েছে। পৌরসভায় কুকুর নিধনের সরঞ্জামাদি না থাকায় কুকুরের বিচরণ রোধ করা যাচ্ছেনা।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন বলেন, কুকুর নিধনের ব্যাপারে আলোচনা করে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।