নওগাঁয় প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়েনিয়ে দন্দ, প্রেমিকের আত্নহত্যা। প্রেমিক যুবকের নাম সুজন কুমার প্রামাণিক (২১)।
ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত যুবক হলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের বিপুল চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, মৃত সুজন কুমার (২১) এর সঙ্গে রাজশাহীর তানোর উপজেলার এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুজন বিষয়টি তার বাবা-মাকে অবহিত করে প্রেমিকাকে বিয়ে করবে বলে জানায়। কিন্তু মেয়ের পরিবার গবির হওয়ায় আপত্তি জানায় তাঁর পরিবার। এনিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে সুজনের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সুজনের পরিবারের টালবাহানার কারণে মেয়ের পরিবার অন্যত্র অপর এক পাত্রের সঙ্গে মেয়ের আশীর্বাদ সম্পন্ন করেন। এ অবস্থায় প্রেমিক সুজন জেদ ধরার কারণে আগের বিয়েটি ভেঙে দেন মেয়ের পরিবার। পরে উভয় পরিবারের মতামতে প্রেমিক সুজনের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকার বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়। আগামীকাল বুধবার তাঁদের আশীর্বাদ হওয়ার ও কথা ছিলো। তবে কী কারণে সুজন আত্মহত্যা করেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।
নিহত সুজনের বাবা বিপুল চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, সোমবার রাতে ছেলে খাবার না খেয়েই শুয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টারদিকে ছেলের ঘর থেকে অস্বাভাবিক শব্দ পেয়ে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় চাদর পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। পরে সেটি কেটে দিলে মেঝেতে পড়ে যায়। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এব্যাপারে মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান জানান, মৃতদেহের কপাল সহ কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।