সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী মাদারগঞ্জের বীর লোটাবর গ্রামের কৃষক দিন মুজুর শহিদ মিয়া প্রতি পক্ষের আঘাতে মার খেয়ে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
আহত দিন মুজুর শহিদ মিয়া জানান, একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়ীর ভোলা মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে আদালতে মামলা মোকাদ্দমা চলছে এবং আদালত ঔ জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে রেখেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর আলম মিলন সহ এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠকের প্রস্তাব দিলে প্রতিপক্ষ ভোলা গ্রæপ তা প্রত্যাখান করে। এভাবেই চলছিল বেশ কয়েকদিন। এদিকে গত ৮ই অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে প্রতিপক্ষের সোহেল মিয়া নৌকা বাইজ দেখতে গিয়ে মোটর সাইকেলে এক্সিডেন্ট করে মারামারি দেখিয়ে ঐ দিনই জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। যার নাম শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা।
এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা লক্ষে ৯ই অক্টোবর শনিবার রাত ১১টায় দিন মুজুর শহিদকে প্রতিপক্ষের রিপন মিয়া, সিপন মিয়া ও মাজম আলী বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ী কলেজ মাঠে নিয়ে গিয়ে মেরে লিলা ফুলা জখম করে ফেলে যায়। অনেক ক্ষন পরে জ্ঞান ফিরলে শহিদ ডাকাডাকি করলে আশে পাশের লোকজন তাকে বাড়ীতে পৌছিয়ে দিয়ে যায়।
পরের দিন শহিদ মিয়া সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে শহিদ মিয়ার প্রতিপক্ষ ভোলা মিয়ার সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর আলম মিলন আমাদের জমি জমা বিষয় নিয়ে কোন মিডিয়ার সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে। তাই চেয়ারম্যানের অনুমুতি ছাড়া কোন কথা বলতে পারবনা।