স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সাত্তরের বিরুদ্ধে সদর উপজেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সম্পতিকালে সরজমিন ঘুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, যে “প্রতি বছর শরীয়তপুর সাব রেজিষ্ট্রার অফিস বিধীমোতাবেক তাদের মোট আয় থেকে ১% টাকা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দিয়ে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তাদের মোট আয় থেকে ১% টাকা সদর উপজেলাকে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই, ১% টাকা উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে প্রকল্প অনুসারে বন্টন করে দিয়েছেন” আমরা সেই টাকা দিয়ে মাটির রাস্তা কাঠেরপুল নির্মাণসহ-উন্নায়ন মুলক কাজ শুরুকরেছি। কাজ প্রায় শেষর দিকে ।“সেই টাকাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের যৌথ স্বাক্ষরের মাধ্যমে তুলতে হয়। । এখন চেক আনতে গিয়ে পড়েছি মহা বিপদে, মোট বিলের ৫% টাকা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে নগদ না দিলে চেকে স্বাক্ষর করবে না। আমরা নগদ ৫% টাকা দিয়ে চেকে স্বাক্ষর করিয়েছি। এই যদি হয় প্রকৌশলীদের চরিত্র তাইলে আমরা কি, ভাবে কাজকরব।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সাত্তারের সাথে আলাপ করতে গেলে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে ঔধত্যপ‚র্ণ আচরণ করেন। সাংবাদিকরা কয় টাকা বেতন পান, সেই প্রশ্নের পাশাপাশি তিনি ইচ্ছে করলেই চারটি পত্রিকার সম্পাদক হতে পারেন বলে জানান। এই প্রতিবেদক তাকে যে প্রশ্নটি করেছিলেন তার জবাব না দিয়ে তিনি ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সর্বশেষে বলেন, আপনি যে ব্যাপারটি জানতে চেয়েছেন তা মোটেও সত্য নয়।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই এর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমিও ব্যাপারটি শুনেছি। তখন বিষয়টিকে এতো গুরুত্ব দেইনি। তবে এখন বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে।