শরীয়তপুর সদর উপজেলার চঁন্দ্রপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য মুক্তা বেগম ও তার স্বামী মোঃ রিপন হোসেন বেপারী, বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালীন ভাতা, গভীর নলকুপ ও সরকারী চাকুরী দেওয়ার নাম করে, গাজীপুর, চর গাজীপুর ও রায়পুর গ্রামের প্রায় এক শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতিকালে সরজমিন ঘুরে স্থানীয় ভুক্ত-ভোগী দরিদ্র-হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী বয়স্ক-বিধবা ব্যক্তিদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, প্রায় এক বছর পূর্বে মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম ও তার স্বামী রিপন বেপারী, আমাদের গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে এসে শত ভাগ বয়স্ক-বিধবা প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতা- কার্ড করে দেওয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং শরীয়তপুর সদর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যলয় ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা জমা দিতে হবে এই কথা বলে, বয়স্ক-বিধবা প্রতিবন্ধী ভাতা- কার্ডের জন্য ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা এবং মাতৃত¦কালীন ভাতা- কার্ডের জন্য ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা নিয়েছে, কিন্তু আমাদেরকে বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করে দেয়নি।
স্থানীয় ভুক্ত ভোগীরা আরও বলেন যে মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম ও তার স্বামী – রিপন বেপারীর, গ্রামের সহজ সরল মানুষকে নানা ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুইটি প্রাইভেট গাড়ী ক্রয় করেছে এবং গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ঢাকায় চলে গেছে, মুক্তা বেগম ও রিপন বেপারী তারা উভয় প্রতারক, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
রায়পুর গ্রামের ফুল মালা বেগম (৬০) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী গণমাধ্যম কে বলেন, মানুষের দেওয়া আর্থিক সহযোগিতার উপার্জিত আমার ৩০০০ (তিন হাজর) টাকা মহিলা মেম্বারের স্বামী- রিপন বেপারী, প্রতিবন্ধী ভাতা-কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে নিয়েছে, কিন্তু আমাকে প্রতিবন্ধী ভাতা-কার্ড করে দেয়নি এবং আমার উপার্জিত ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা ফেরত পাইনি।
চঁন্দ্রপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে রাবেয়া বেগম (৩০) নামে এক মহিলা গ্রাম পুলিশ জানান যে, মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম এর স্বামী-রিপন বেপারী, দুই বছর পুর্বে আমার ছোট বোন লাবনী আক্তার কে প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা দাবী করেন , আমি সুদের উপরে এক লক্ষ টাকা এনে রিপন বেপারীকে দিয়েছিলাম এখন এক লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে ১০০০০ টাকা সুদ দিতেছি কিন্তু আমার বোনের চাকুরীর কোন খবর নেই।
চঁন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন মোল্যা জানান সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম, ও তার স্বামী রিপন বেপারী, রায়পুর গাজীপুর ও চর গাজীপুর গ্রামের নি¤œবিত্ত পরিবারের মানুষকে নানা ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়েছে বিষয়টি আমি শুনেছি এবং কিছু সংখ্যক লোক আমার কাছে অভিযোগ করেছে।
সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মুক্তা বেগম ও রিপন বেপারীর সাথে এ বেপারে মুঠো ফোনে আলাপ কালে, মুক্তা বেগম ও রিপন বেপারী বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।