শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওহেদ খান (২৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে ও দুই পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, দিদার সিকদার (৩৮), মিঠু মাদবর (৩৪), শামীম ঢালী (২৫), খালেক তালুকদার (৭০), ইয়কুব তালুকদার (৩৪), ইদ্রিস তালুকদার (৪০) সহ আরো অনেকেই।
৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের আবুড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ওহেদ খান ওই গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিন খানের ছেলে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চিকন্দি ইউনিয়নের আবুড়া এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাচ্ছের খানের সঙ্গে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আলমাস খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন খানদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল ফুটিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে মোদাচ্ছের খানের ছোট ভাই ওহেদ খান নিহত হন। আহত হন আরও ১৫ জন। তাদের সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন।
নিহত ওহেদ খানের ভাই জাহাঙ্গীর খান জানান, গতকাল দুপুর ১ টার দিকে চিকন্দী বাজারে আমার ছোট ভাই মোদাচ্ছের হোসেন কে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ মোসলেম মাদবর, আক্তার খান, ফরহাদ খান, ইদ্রিস খান ও আলমাস খানসহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ককটেল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করলে আমার ভাই দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়ির লোকজনের উপরে হামলা করে এবং আমার ছোট ভাই ওহেদ খান কে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। আমি এ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি
জাহাঙ্গীর খান আরো বলেন, আমার ভাইয়ের লাশ দাফনের পরে আমি থানায় মামলা করবো।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।