নাট্যজন মামুনুর রশীদের এই বক্তব্যে কেঁচো খুঁড়তে যেনো সাপ বের হওয়ার উপক্রম । আগেই বলে নিচ্ছি, আমি হিরো আলমের মানহীন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সমর্থক নই কিন্তু তার উত্থানের সাহসকে সাধুবাদ জানাই ।
বাংলাদেশে রুচির দুর্ভিক্ষের জন্য কোনোভাবেই সাধারণ মানুষ বা হিরো আলমের উপর দায়ভার চাপানো যায়না, বরং এটা অন্যায় ও অন্যায্য।
এদেশে সাংস্কৃতিক দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে কালচারাল টেরোরিস্ট বা সাংস্কৃতিক ব্রাক্ষ্মণদের কারণে। আর তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে একশ্রেণীর গণমাধ্যম । সুদীর্ঘকাল ধরে তারাই ছিলেন কালচারাল মাফিয়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসে এই স্বার্থান্ধ মনোপলি বা অনৈতিক একচ্ছত্র আধিপত্যকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। ফলে অনেক প্রতিভাবানের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটেছে । এর ফাঁক গলিয়ে হিরো আলমদের মতো প্রান্তিক মানুষের উত্থান ঘটেছে, পারফরমিং আর্টে যাদের কোনো দক্ষতা বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।
এতোদিন যারা নিজেদেরকে সাংস্কৃতিক কুতুব বা তারকা তৈরির কারিগর মনে করতেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের প্রায় পথে বসার অবস্থা। সুতরাং এর দায়ভার সাধারণের উপর চাপানো যথার্থ নয় । বরং গত ৫২ বছর ধরে এদেশের প্রান্তজনকে; অধিকাংশ মানুষের মূল্যবোধকে; মামা খালু না থাকা যোগ্য ও মেধাবীদেরকে যারা ঠেকিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিৎ বলে মনে করি।
প্রত্যাশা করি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বাংলাদেশে অবহেলিত প্রতিভাবানদের বিপুল উত্থান হবে । এবং বিশ্বাস রাখি, এটা হবেই।
লেখক :
সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত শিল্পী