আবারো ভাঙনের কবলে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরি গ্রাম। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশত বসতবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাঙনে বিপর্যস্ত তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলা হবে।
এভাবেই একের পর এক ভিটে মাটিসহ বসতবাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই যেন রুদ্ররূপ ধারণ করেছে যমুনা। সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরি গ্রামে আকস্মিক ভাঙনে দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষজন। মুহূর্তেই চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় অর্ধশত বসতবাড়ি।
ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। স্থানীয়দের অভিযোগ চলতি বন্যায় চতুর্থবারের মতো এই এলাকায় ভাঙন দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে বারবার এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে।
ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে বালি ভর্তিজিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। সে সঙ্গে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
দ্রুত ভাঙন রোধ করা না গেলে হুমকির মুখে পড়বে ব্রহ্মপুত্র বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশপাশের ২০টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ।