নিজস্ব প্রতিবেদক।।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে লকডাউন চলছে। দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে দিনমজুর, রিকশাচালক, পরিবহন খাতে জড়িতসহ খেটে খাওয়া বহু মানুষ।
এমতাবস্থায় কেউ ফোন করে খাদ্য সংকটের কথা জানালেই বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন ঘাটাইলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অঞ্জন কুমার সরকার।
দেশের এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছিলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রতন বরিষ গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষজন। সে গ্রামের মানুষের এমন অবস্থার কথা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী জুয়েল মামুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন দিয়ে জানালে একেবারেই বিপাকে পড়া পাঁচটি পরিবারের মাঝে তিনি জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, আমরা গত ২৮ মার্চ থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের দুইটি হটলাইন নাম্বার সবসময় চালু আছে। কেউ না খেয়ে আছে এমন খবর পেলেই আমরা তার বাসায় ছুটেঁ যাচ্ছি। আমাদের আট জন মোটরসাইকেল আরোহী আছে তারা দুর্গম জায়গায় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে।
বাড়ি বাড়ি ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার থেকে মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা যদি ত্রানের জন্য লাইনে দাঁড়ায় তাহলে কেমন হয়। আমরা এভাবে অন্তত ১২৫০ টি বাড়িতে ত্রান পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ত্রান পেয়ে খুশি রতন বরিষ গ্রামের আজহার আলী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদে পাঁচ কেজি ময়দার জন্য তিনবার গিয়ে ফিরে এসেছি। এবার প্রথম কোন সরকারি সহযোগিতা পেলাম।’
অন্যদৃষ্টি