পেকুয়ায় চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদীকে কারাগারে প্রেরণ।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এএইচ এম বদিউল আলম জিহাদিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক রাজিব কুমার দেব তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
গত রমজান মাসে চেয়ারম্যান বদিউল আলম রোজা না রাখা ও নামাজ না পড়ার অজুহাতে আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলাম ও তার দু’ছেলে বাচ্চু ও আব্বাসকে মসজিদের ভেতর প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করেন। ওই ঘটনায় নূরুল ইসলাম বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় চেয়ারম্যানকে আসামি করে একটি জিআর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫০/২০ পেকুয়া থানা।
ইতিপূর্বে চেয়ারম্যান বদিউল আলম জিহাদী উক্ত মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত না মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শহিদুল্লাহ চৌধুরী।
মামলার বাদি নুরুল ইসলাম বলেন, গত ২৬ রমজানে চেয়ারম্যান বদিউল আলম নামাজ না পড়া ও রোজা না রাখার অপবাদে চার সমাজপতি ও আমাকে দিনে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবসা ও সিজদা দেয়। এ সময় আমাদের তওবা পড়ানো হয়। দুইদিন পর ২৮ রমজানে একই অপবাদে মসজিদের ভেতর আমাকে ও আমার দুই ছেলেকে নিষ্টুরভাবে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়। তিনি একজন জামাত নেতা। আমাকে সামাজিক ভাবে অপমান করতে এ ধরনের গর্হিত কাজ করেছেন।বাদি নুরুল ইসলাম বারবাকিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি