“ক্রসফায়ারে হত্যা” বরখাস্ত ওসি প্রদীপের ৪ মামলা সিআইডি-পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ
মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি ও টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আদালতে দায়ের কৃত চার হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজারে একটি আদালত। কক্সবাজার-৪ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ গতকাল সোমবার (১৬ নভেম্বর) এ আদেশ জারি করেন।
ওসি প্রদীপ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বরে টেকনাফে উপজেলার বাহারছড়ার আবদুল আমিন, হোয়ইক্যংয়ের ইউনিয়নের শাহাবুদ্দীন, মিজানুর রহমান ও মাহমুদুর রহমানকে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে ঊক্ত আদালতে চারটি আলাদা হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতদের পরিবার।
দায়ের কৃত মামলাগুলো আদালত তখন প্রাথমিকভাবে আমলে নেয়। উল্লেখিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পূর্বে কোন মামলা হয়েছিল কিনা এবং নিহত ব্যক্তিদের পোস্ট মর্টেম করা হয়েছিল কিনা তা জানতে চেয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের আদেশ অনুযায়ী টেকনাফ থানা থেকে প্রতিবেদন পৌছার পর এ চারটি মামলা তদন্তের নির্দেশ এলো আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের পক্ষ থেকে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, “ক্রসফায়ারে” নামে সংঘঠিত হত্যাকান্ডের এই চারটি মামলার মধ্যে দুটি মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), একটি মামলা পু্লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং একটি মামলা পুলিশের উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।
চারটি মামলার মধ্যে আবদুল আমিন ও মাহমুদুর রহমান কে “বন্ধুকযুদ্ধের” নামে হত্যা মামলা দুটি সিআইডিকে, শাহাবুদ্দীন হত্যা মামলাটি পিবিআইকে ও মিজানুর রহমান হত্যা মামলাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আবু মুসা মোহাম্মদ বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী টেকনাফ থানা পাঁচটি মামলার প্রতিবেদন ইতিমধ্যে আদালতে দাখিল করেছে। তান্মধ্যে চারটি মামলা তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যংয়ের মুফিদ আলম হত্যা মামলার আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য যে,গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া এপিবিএন চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান কে গুলি করে হত্যা করে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী।
৫ আগষ্ট বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী কে প্রধান আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় বোন শাহরিয়ার শারমিন চৌধুরী। টেকনাফ থানার তৎকালীন আলোচিত-সমালোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ ৯জূন অপরাপর পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবল কে আসামি করা হয়।