সাহস
জয়নব আরা বেগম
————————————————————————————–
যে মেয়েটি কারো সাথে কথা বলতেই
ভয়ে থরথর করে কাঁপতো,
নিজের বই-খাতা, জামা-কাপড় এমনকি
বিছানাও গুছাতে জানতো না।
রান্না তো দূরের কথা- কাঁটা বেছে না দিলে
সরষে দেয়া পদ্মার ইলিশ পর্যন্ত
মুখে তুলতে পারতো না।
সে এখন তার সাফল্যের সাথে সাক্ষাত
করার জন্যে গোলার্ধের উত্তর প্রান্তে
একাকী উড়াল দিতে টিকিট হাতে নাচে।
অবলীলায় সেই নদী পার হয়ে আসে-
যার নাম ‘দ্বিধা’।
পাড়ি দেয় সেই অরণ্য- যার নাম ‘সংকোচ’।
পিছনে ফেলে রাখে সেই উপত্যকা-
আঁচল কামড়ে যার নাম রেখেছিলো ‘লজ্জা’।
সময়ের প্রয়োজনে আজ সে
খোঁজে নিয়েছে নির্ভরতার লতাকুঞ্জ।
এখন সে এসে পৌঁছেছে সেই দরজায়-
যেখানে কেউ আশা না করলে এসে পৌঁছায় না।
প্রজ্জ্বলিত কলহ, ধুমায়িত বিতর্ক, আগুন,
সম্মান পুড়ানো বারূদের গন্ধ
সবকিছুর অর্থ- এখন তার কাছে মামুলি।
তার ইচ্ছে বাড়ির দুয়ারে কেউ যেন এসে
আলকাতরা দিয়ে লিখে রেখে গেছে ‘সাহস’।
তারই স্নেহের উত্তাপে সে এখন দিনরাত্রি যাপন করে।