বিদ্যালয়ের ছাদে ছাত্রীর ধূমপানে নিষেধ করায় অপমানে আত্নহত্যা করায় বেধড়ক মারধরে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন শিক্ষক।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতান পুর মাহতাবউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫ (পাঁচ) জন ছাত্রী মিলে স্কুল চলাকালীন স্কুল ড্রেস পরে স্কুলের ছাদে বিড়ি খাচ্ছিল। ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ছাদের উপর উঠে ধূমপান করছে দুই শিক্ষক ও এক আয়া বিষয়টি জানতে পেরে ছাদে গিয়ে প্রমাণ রাখার জন্য ছবি/ভিডিয়ো ধারণ করে রাখে, যাতে পরে অস্বীকার করতে না পারে।
পরবর্তীতে ছাত্রীদেরকে শিক্ষকরা শাসন করে এবং অভিভাবকদের জানানো ও ছাত্রীদের ভাষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এই ঘটনা যখন ঘটে তখন প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে স্কুলের বাইরে ছিলেন।
পরবর্তীতে একজন ছাত্রী এই অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় (বিষয়টি পুলিশী তদন্তাধীন)।
আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীর জানাযায় অংশ নিতে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে প্রধান শিক্ষক ওই গ্রামে গেলে, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী প্রধান শিক্ষককে মেরে রক্তাক্ত করে।
উক্ত ছাত্রীর লাশ দেখতে ও জানাযায় শরিফ হতে আাসা প্রধান শিক্ষকের সাথে স্হানীয় এক সাবেক মেম্বারের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেম্বার সহ উপস্থিত জনতা তার উপর আক্রমণ করে বসে।
তাকে মারতে মারতে অনেক দুর নিয়ে যায়। পরে পুলিশ প্রশাসন তাকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।