শাহনেওয়াজ সুমন, ঝিনাইদহ।।
একটি নয় দুটি নয় তিন তিনটি ছেলে সন্তান নিয়ে হুলস্থুল কান্ড ঝিনাইদহের শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দরিদ্র্ কৃষক দম্পতি মনিরুল ও লিমার বাড়িতে। তিন তিনটি নবজাতককে ঘিরে তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। দলে দলে হাসিমুখে দেখতে আসছে প্রতিবেশীরা, খুশী স্বজনেরাও। তাদের নাম রাখা হয়েছে হাসান, হুসাইন ও ইউসুফ। এই নিয়ে ওই দম্পতির ছেলের সংখ্যা চার।
তবে এসব আনন্দ যেন ম্লান করে দিচ্ছে মনিরুলের অতি দরিদ্রতা। কি ভাবে তাদের লালন পালন করবে এই চিন্তায় মাথা ঘুরছে তাদের। গ্রামবাসি জানায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারীতে ভুমিষ্ট হয় লিমার তিন ছেলে সন্তান। সেখানেই গরু-ছাগল বিক্রি আর কিছু নগদ টাকা দিয়ে মেটানো হয় হাসপাতালের খরচ। জন্মের পর থেকে মা লিমা ও নবজাতকগুলো পরিচর্চার অভাবে ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। মিলছে না মায়ের বুকের দুধ। চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়াতে হচ্ছে কৌটার দুধ, অর্থাভাবে জুটছে না পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা। নবজাতক ৩ টির বাবা মনিরুল কাজী ও মা লিমা খাতুন জানায়, ৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের প্রথম ছেলের বয়স ৪ বছর। পরিবারটি এতটাই দরিদ্র যে, বড় ছেলের লালন পালন না করতে পেরে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে নানা বাড়ি। স্বজন আর প্রতিবেশীরা বলছে সামান্য আয়ের এই কৃষক পরিবারের জন্য ৩টি সন্তান পালন অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিত্তবান বা সরকারী- বেসরকারী কিছু সহযোগীতা পেলে নবজাতক তিনটি সুস্থ্যভাবে বেড়ে উঠতে পারবে বলে তাদের আশা। এলাকার নারী জনপ্রতিনিধি মদিনা খাতুন জানান, বিত্তবানদের সহায়তা ছাড়া পরিবারটির চলা একেবারেই অচল।