লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত চলাচল অনুপযোগী একটি সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় তরুণ, যুবক ও বৃদ্ধরা। স্বেচ্ছাশ্রমে গত দুইদিন ধরে ওই সড়কের মেরামতের কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার বাসিন্দা আঃ জাহের কোম্পানি, শাহাজান, সফিক মোল্লা, মোস্তফা মাঝি, নুরুল ইসলাম, আবুল কাসেম, হারুনুর রসিদ, আলাউদ্দিন, বাবলু, মিলনসহ ১৫-২০ জন তরুণ-যুবক ও বৃদ্ধ মিলে রাস্তা মেরামতের কাজ করছে। রাস্তার পাশের পানিতে ডুবে থাকা জমি থেকে মাটি তুলে হাতে হাতে করে নিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তায় দিয়ে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে তারা।
জানা গেছে, গত পূর্ণিমার সময় “ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের” প্রভাবে মেঘনা নদীর কয়েক দফা অস্বাভাবিক জোয়ারে চর মার্টিন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শাহে আরম মেম্বার দরজা সংলগ্ন এস আলম সড়কটি ভেঙ্গে যায়। জোয়ার ও অতিবৃষ্টিতে সড়কটির ১০০ মিটার ভেঙে পড়ে । এমন পরিস্থিতিতে চলাচল বন্ধ হয়ে ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। গত সাপ্তাহে স্থানীয়দের অর্থায়নে এই অংশটি বাধ দেওয়া হয়। তিন দিন থাকার পরে সেই বাধটি বৃষ্টির পানিতে আবার ও ভেঙে যায়। অবশেষে এলাকার কেউ সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়াতে নিজেরাই সেচ্ছায় ভাঙা রাস্তাটি সংস্কারের করা শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই সড়ক দিয়ে বলিরপোল, এস আলম মার্কেট, নাজিরগঞ্জ এলাকা ও পার্শ্ববর্তী চর কালকিনির ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল যাতায়াত করত। কিন্তু সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি মেরামত হওয়ায় সাময়িকভাবে চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে সরকারি উদ্যোগে টেকসই ভাবে সড়কটি স্থায়ীভাবে মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এস আলম জামে মসজিদের মুসল্লিরা জানান, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় কারণে মুসল্লিরা মসজিদে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়েন। সকাল বেলা মক্তবে যেতে পারে না শিশুরা।