এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে নতুন তথ্য জানাল মাউশি

অন্যদৃষ্টি অনলাইন
মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ন

‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।

এজন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

আগামী সপ্তাহ থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে। এজন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার (০১ জুলাই) এসব কথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপ-পরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী।

জানা গেছে, এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করতে যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে, সেটির ডেমো গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাউশির ঊর্ধ্বতনদের সামনে প্রদর্শন করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তার স্কুল-কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের তথ্য ইনপুট দেবেন। আগামী ৭ জুলাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে সফটওয়্যারে প্রবেশের এক্সেস দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মাউশির একটি সূত্র জানিয়েছে, তৈরিকৃত সফটওয়্যারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পদ ও শূন্য পদের তথ্য দেখা যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং প্রদত্ত তথ্য যাচাই করারও সুযোগ থাকছে সফটওয়্যারে। প্রতিষ্ঠান প্রধান যে তথ্য দেবেন সেটি যাচাই করে ফরওয়ার্ড করবে উপজেলা শিক্ষা অফিস। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পুনরায় তথ্য যাচাই করে সেটি মাউশিতে পাঠাবেন। আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে কোনো তথ্য যাচাই করা হবে না।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা জানান, ‘তৈরিকৃত সফটওয়্যারে শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে কোন বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়েছেন, কমিটি নাকি এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন, কোন বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন, পদের নামসহ আরও বেশকিছু বিষয়ের তথ্য দিতে হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই মূলত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

এ বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সফটওয়্যারে প্রবেশের আইডি পাসওয়ার্ড দেওয়ার। এরপর মাসব্যাপী এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই কাজের পাশাপাশি বদলির জন্য মূল সফটওয়্যার তৈরির কাজও চলবে।’

এভাবে তথ্য সংগ্রহ করার কারণ জানতে চাইলে মাউশির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আমাদের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা ইএমআইএস সেলে শিক্ষকদের যে তথ্য রয়েছে, সেগুলো খুবই এলোমেলো অবস্থায় আছে। শিক্ষকদের অনেক তথ্য নেই। অনেক তথ্যে ভুল রয়েছে। সেজন্য বদলি চালুর পূর্বে শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহের এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে। শিক্ষকরা আগে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে আমলাদের বিরোধীতার কারণে সম্প্রতি সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

পরবর্তীতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।

Facebook Comments
সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

আরো সংবাদ