পটুয়াখালী-২ আসনে নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্বে আ’লীগ নেতারা!

অন্যদৃষ্টি অনলাইন
শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৯ অপরাহ্ন

অন্যদৃষ্টি অনলাইন।।

রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ভোটগ্রহণের দায়িত্ব দেয়ার বিধান না থাকলেও পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংঠনের স্থানীয় নেতারা নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক ব্যক্তি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার তালিকাভুক্ত এবং তাদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠিও রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সূত্র জানায়, ১১৪ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৫৩১ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং এক হাজার ৬২ পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ পাওয়ার পর বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

এ দুদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সদ্য সরকারি হওয়া বাউফল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম খান।

তিনি কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি এবং নিয়মিত নৌকার পক্ষে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।

প্রশিক্ষণ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও আছেন-বাউফল সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক লুৎফর রহমান, নাজমুল কবির, মোস্তাফিজুর রহমান ও স্বপন কুমার সমাদ্দার।

নওমালা আবদুর রহমান রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক মোল্লা, একই কলেজের শিক্ষক মো. কবিরুজ্জামান ও মো. মনিরুজ্জামান।

নুরাইনপুর কলেজের শিক্ষক কামরুল হাসান, নাজিরপুর ছোটডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান, আবদুল জলিল তালুকদার।

জানা গেছে, প্রশিক্ষণ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে লুৎফর রহমান বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মালেক মোল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, কবিরুজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক, মো. মনিরুজ্জামান বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক, কামরুল হাসান সূর্যমণি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য এবং একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মো. মাহবুবুর রহমান মনপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. মিজানুর রহমান দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আরও সক্রিয় সদস্য ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছেন, যারা নৌকার পক্ষে প্রতিদিন প্রচার চালাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কমর্কর্তা মো. সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার তালিকার ফটোকপি দিতে রাজি হননি।

তবে প্রশিক্ষণ নেয়া ব্যক্তিরা সবাই তালিকাভুক্ত বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

সেলিম রেজা বলেন, ১১৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও তাদের মধ্য থেকে ১০৮ জনকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হবে।

পটুয়াখালী-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সালমা আলম অভিযোগ করেন, ভোটের আগের রাতে নৌকার পক্ষে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার জন্যই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের কেউ কোনো দলের সমর্থক হতে পারেন, তবে দলীয় পদে আছেন-এমনটি মনে করি না।

যদি কারও বিরুদ্ধে পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়, তা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


আরো সংবাদ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com