দেশজুড়ে সয়াবিন তেলের সংকট। ঈদের সামনে দোকানে সয়াবিন তেল না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
এদিকে সংকটকালে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মজুত করে রাখা তেল বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে এলো একটি ইতিবাচক খবর। ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে একটি জাহাজ। জাহাজ থেকে এখন পুরোদমে তেল খালাস চলছে।
রোববার বন্দর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ জাহাজটিতে এই সয়াবিন তেল আমদানি করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল লিমিটেড।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, জাহাজটিতে আমদানি করা সয়াবিন তেল খালাস প্রায় শেষ পর্যায়ে। খালাস শেষে সোমবার বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন : নিত্যপণ্যের দামে আবারও উত্তাপ
তেল আমদানির পর প্রথমে পতেঙ্গা এলাকায় কাস্টমস বন্ডেন্ড ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হয়। আর শুল্ককর পরিশোধের পর ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করে কোম্পানিগুলো। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় কারখানাগুলো নিয়মিতই এখন ট্যাংক টার্মিনাল থেকে খালাস করে কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করছে।
দেশে অপরিশোধিত আকারে সয়াবিন তেল আমদানি হয়। আবার আমদানি করা বীজ মাড়াই করে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। গত অর্থবছরের হিসাবে, অপরিশোধিত আকারে প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয় ৬৫ হাজার টন। এ হিসাবে ২ কোটি ২৯ লাখ টন সয়াবিন তেল দিয়ে অন্তত ১০ দিনের চাহিদা পূরণ সম্ভব।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দামে অস্থিরতা শুরু হয়। আর্জেন্টিনা রপ্তানি সীমিত করার ঘোষণা এবং ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর দাম বাড়ার নতুন নতুন রেকর্ড হয়। দেশেও দাম না পেয়ে আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। আবার ঈদের পরে দাম বাড়বে, এমন চিন্তা থেকে মজুতের প্রবণতাও শুরু হয়। তাতে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়।