বাজার করে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন মামা। রাস্তার পাশ থেকে হঠাত হাতুড়ি নিয়ে ঝোঁপ থেকে বেরিয়ে আসে ভাগ্নে। ভাগ্নে হাতে হাঁড়–তি দেখে জোরে মোটরসাইলে নিয়ে চলে যেতে চাই মামা। কিন্তু ভাগ্নে মোটরসাইকেলে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। মামা রাস্তার ধারে পড়ে গেলে হাড়–ড়ি দিয়ে মুখে আর মাথায় আঘাত করে ভাগ্নে। মারা গেছে ভেবে সেখান থেকে চলে যায় ভাগ্নে।
পরে স্থানীয়রা তাকে মূহুর্ষ অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়।” ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকায়।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। নিহত ওই ব্যক্তির নাম আয়ূব আলী (৫৫)। বাড়ী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকায়। তিনি উক্ত এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। আয়ূব আলীর ভাতিজা নাজমুল হক জানান, “বিকেলে নিমতলা বাজার থেকে বাজার করে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন আয়ূব আলী।
পথিমধ্যে ঝোপের আড়াল থেকে হাতুড়ি হাতে রাস্তার উপরে আসে আয়ূব আলীর চাচাতো বোনের ছেলে সাজু। তারপর তাকে লাথি দিয়ে ফেলে হাতুড়ি দিয়ে মেরে রক্তাত করে মারাত্বক ভাবে আহত করে। মরে গেছে ভেবে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় সাজু।
পরে পথচারিরা তাকে পড়ে থাকতে দেখে লোকজনকে খবর দেয় এবং প্রথমে মিরপুর পরে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা তিনি যান। ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাজুর মা অসুস্থ্য ছিলো। তার চিকিৎসার জন্য গরু বিক্রি করেছে। সাজু এলাকায় না থাকায় তার মামারা গরু বিক্রি করে সাজুর মায়ের চিকিৎসা করায় রাগ ছিলো সাজুর মামা আয়ূব আলীর উপরে।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত ভাগ্নে রাজ্জাক আলীর ছেলে সাজু। সে পূর্বের একটি হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভারতে পলাতক ছিলো। মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।