ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম নাসিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
শিক্ষক কোয়ার্টারের মেঘনা ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা ভবনের পেছনে বাগান পরিচর্যা করার সময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এমএম নাসিমুজ্জামান পূর্ব শত্রুতার জেরে শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এসময় নাসিমুজ্জামান লাঠি হাতে তেড়ে এসে বলেন, ‘তোকে আমি আজকে মাথা ফাটিয়ে খুন করে ফেলবো, তোর কোন বাবা আছে ডাক, আজকে তোকে মেরেই ফেলবে।’
এছাড়াও ভবনের বিভিন্ন কাজে অন্যায়ভাবে সুবিধা নিতে না পারা এবং ভবনের পেছনে ফাঁকা জায়গায় বাগান করা নিয়ে অন্যায়ভাবে প্রাধান্য বিস্তার করতে না পারার ক্ষোভে তিনি আলতাফ হোসেনের ওপর হামলাসহ বিভিন্নভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জিডিতে উল্লেখ রয়েছে।
এ ঘটনায় আলতাফ হোসেন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বর ২৩।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষক জিডি করেছেন। আমরা কোর্টে পাঠাবো। কোর্ট অনুমতি দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
ভুক্তভোগী শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন বলেন, তিনি এর আগেও আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। আমি সম্মানার্থে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। আজ তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। থানায় জিডি করেছি। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর এম এম নাসিমুজ্জামান বলেন, আলতাফ ভবনের পাশে জিগল গাছ লাগাচ্ছিলেন। আমি ওপর থেকে নিষেধ করি। পরে নিচে নেমে এসে কথা বলি। তবে গালিগালাজ বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। শিক্ষক হিসেবে আমরা এটা ভাবতেই পারি না। হত্যার হুমকি দেওয়া তো দূর, গালিগালাজের তো প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।