/ কুমিল্লা
কুমিল্লা প্রতিনিধি।। কুমিল্লার লালমাইতে দাঁড়ানো ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে বাস। এতে বাসের চার যাত্রী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কেশনপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ...
মোহাম্মদ আলী।। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও পাশ্ববর্তী জেলা নিয়ে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে রাজপথে অবস্থান, গণসংযোগ, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলার (২২ জানুয়ারি)  নোয়াখালীর চৌমুহনী-মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কের একলাশপুরে
নিকোলাস বিশ্বাস।। মামলার আবেদনকারীর পরিচিতি: মোসাম্মৎ আরিফা আক্তার। বয়স আনুমানিক ৩৫ গ্রাম- সোনাকান্দা, ইউনিয়ন- দৌলতপুর, উপজেলা- দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা। ৪ বোন ও বাবা মা সহ মোট ৬ জনের সংসার। পেশায় একজন কিন্ডারকাডেন স্কুল শিক্ষক। তাঁর বাবা একজন দিনমজুর ও মা গৃহিনী। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি টিউশনি করেন। তার মা বাড়িরকাজের পাশপাশি বিভিন্ন হাতের কাজ করে থাকেন। যেমন- কাঁথা সেলাই, মোড়া তৈরী, কুলা ও ডালা তৈরী ইত্যাদি। মামলার প্রতিবাদীর পরিচিতি: মোঃ সুফি আহাম্মদ (রনি), গ্রাম- পাটন, ইউনিয়ন- নায়েরগাঁও দক্ষিণ, উপজেলা- মতলব দক্ষিণ, জেলা- চাঁদপুর। তিনি সৌদি-আরব প্রবাসী। বিরোধের সূত্রপাত: আবেদনকারী ও প্রতিবাদী সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন। আবেদনকারী মোসাম্মৎ আরিফা আক্তার প্রায় ২বছর পূর্বে প্রতিবাদী মোঃ সুফি আহাম্মদ (রনি) কে তার বাবাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। রনি তাকে বলেন যে, বিদেশযেতে হলে প্রথমে পাসপোর্ট করতে হবে। আরিফা তার কথায় রাজি হয়ে বাবার জন্য পাসপোর্ট করে রনিকে জানায়। রনি সৌদি-আরব থেকে আরিফাকে ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা দিতে বলে। রনির কথা মতো আরিফা ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা দেয়।এরপর রনি ভিসা প্রস্তুত হয়েছে বলে আরো ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চান এবং তার বাবাকে কিছু দিনের মধ্যেই বিদেশেনিয়ে যাবে বলে তাকে জানায়। আরিফা রনির কথা মতো আরো ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দেয়। কিন্তু রনি তার বাবাকেবিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে টাল-বাহানা শুরু করে। এভাবে প্রায় ২ বৎসর পার হয়ে যায়। বিদেশে নিচ্ছেও না আবার টাকাও ফেরতদিচ্ছে না। এরপর রনি গত ০৪/১১/২০১৮ তারিখে বাংলাদেশে আসে। আরিফা বিষটি জানতে পেরে তার বাবাকে সাথে নিয়েতাৎক্ষণিকভাবে রনির সঙ্গে দেখা করে তার টাকা ফেরত চান। কিন্তু রনি টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করেন। গ্রাম আদালতের ধারণা লাভ: বাংলাদেশ সরকার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায়বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের মূল ভিত্তি হচ্ছে: গ্রাম আদালত আইন২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬। এ আইন বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষবিশেষ ক’রে নারী, দরিদ্র ও অসহায় মানুষ অল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে সঠিক বিচার পাবেন। এ প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষদেরচেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সচিব ও গ্রাম পুলিশদের গ্রাম আদালত বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালারআয়োজন করা হয়। এছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গ্রাম আদালত বিষয়কউঠান-সভা অনুষ্ঠিত হয়। আরিফা আক্তার বিষয়টি রনির সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যকে জানান। বিষয়টি শুনে ইউপি সদস্য আরিফাকেইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। আরিফা উক্ত ইউপি সদস্যের মাধ্যমেআরো জানতে পারেন যে, তাদের ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং সেখানে মামলা করলে ন্যায়-বিচার পাওয়া যায়। মামলার জন্য মাত্র ১০ টাকা অথবা ২০ টাকা ফি দিতে হয়। এই আদালতে কোন আইনজীবি নিয়োগ করা লাগেনা। মামলার খরচ খুবই কম হওয়ায় মোসাম্মৎ আরিফা আক্তার রনির ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সরাসরি গ্রাম আদালতে মামলাকরার সিদ্ধান্ত নেন। গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের: ইউপি সদস্যের কথা মতো, আরিফা ৫/১২/২০১৮ তারিখে রনি’র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদেআসেন এবং গ্রাম আদালত সহকারী রিমা আক্তারের সঙ্গে দেখা করেন। আরিফা তাকে বিষয়টি বিস্তারিত বলেন। বিষয়টি গ্রামআদালতের আওতাভূক্ত বিধায় রিমা আক্তার তাকে গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন। ঐ দিনই আরিফা আক্তার২০ টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেন। গ্রাম আদালতের বিচার প্রক্রিয়া: আদালত সহকারী রিমা আক্তার দাখিলকৃত অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকেঅবহিত করেন। চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মৃধা অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে দেখেন এবং আদালত সহকারীকে১১/১২/২০১৮ তারিখে দিন ধার্য করে প্রতিবাদীর প্রতি সমন জারী ও আবেদনকারীকে মামলার স্লিপ দেওয়ার নির্দেশ দেন।আদালত সহকারী যথানিয়মে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সমন জারী ও মামলার স্লিপ প্রদান করেন।
কুমিল্লা প্রতিনিধি।। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী ও মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। রাজনৈতিক কারণে