রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শাহসুলতান (রহঃ) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাও. মোঃ দুরুল হোদা তার ফেসবুক পেজে মাদক নিয়ে কুরআন হাদীসের আলোকে লিখেছেন তা পাঠকদের জন্য হুবাহুব তুলে ধরা হলো।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহম্মদ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লহ তার ৪০ (চল্লিশ) দিন সালাত কবুল করবেন না।
যদি এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে তাহলে জাহান্নামে যাবে। যদি তওবাহ করে তাহলে আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করবেন।
আবার নেশাদার দ্রব্য পান করলে আল্লাহ তার ৪০ দিন সালাত কবুল করবেন না। যদি এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে তাহলে জাহান্নামে যাবে। আর যদি তওবাহ করে আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করবেন। আবার যদি নেশাদার দ্রব্য পান করে আল্লাহ তার ৪০দিন সালাত কবুল করবেন না।
এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে জাহান্নামে যাবে। তওবাহ করলে আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করবেন। লোকটি যদি চতুর্থবার মদ পান করে আল্লাহ তাকে ক্বিয়া মাতের দিন ‘রাদাগাতুল খাবাল’ পান করাবেন।
সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) রাদাগাতুল খাবাল কী? রাসূল (সাঃ) বললেন, আগুনের তাপে জাহান্নামীদের শরীর হতে গলে পড়া রক্ত পূজ মিশ্রিত গরম তরল পদার্থ ‘(সহীহ ইবনু মাজাহ হা নং ২৭৩৮, হাদীস সহীহ)।
নেশাদার দ্রব্য/ মাদক দ্রব্য বলতে কি বুঝি বর্তমানে আমাদের সমাজে যে সকল মাদকদ্রব্য বেশী চলছে তা হল – বিড়ি- সিগারেট, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাজা, ইয়াবা, আফিন, মদ, তাড়ি, জর্দ্দা, গুল, তামাকজাত দ্রব্য ইত্যাদি।
এসব মাদকদ্রব্যের সাথে সম্পর্ক রাখে এমন দশ শ্রেণীর লোকের প্রতি রাসূল (সাঃ) অভিশাপ করেছেন,। [১] যে লোক মদের নির্যাস বের করে [২] প্রস্তুতকারক [৩] মদ পানকারি [৪] যে পান করায় [৫] আমদানি কারক [৬] যার জন্য আমদানি করা হয় [৭] বিক্রেতা [৮] ক্রেতা [৯] সরবরাহকারী [১০] লভ্যাংশ ভোগকারী (তিরমিজি, সনদ সহীহ,)।