বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৭ নং কবাই ইউনিয়ন ঢাকায় ওয়ারী থানায় কর্মরত এস আই আলাউদ্দিন খানের দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা বেগম লিজার বিরুদ্ধে।
জয়নাল আবেদিন খানের জমি দখলের পাঁয়তারা সানজিদা বেগম লিজা ভূমিদস্যু ও পরোলুভী তার স্বামী আলাউদ্দিন খান পুলিশের চাকরি করায় সানজিদা বেগম লিজা আইন-কানুন কোনকিছুর পরোয়া করে না। তার রয়েছে বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী, সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম তোফাজ্জল হোসেন খানের কূ-পুত্র আরিফ খান, তারেক খান, মান্না, আলাউদ্দিনের খানের কন্যা মেরী আক্তার, তাঁদের ভিতর অন্যতম হলো আরিফ খান বেশ কিছুদিন আগে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। যার নামে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় ছিনতাই মামলা রয়েছে।
এছাড়াও বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে, আরিফ খান সব সময় নেশায় ডুবাই থাকেন। আর সে নেশার টাকার জন্য চাঁদাবাজি ছিনতাই ও চুরি করেও। নেশার টাকা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরিফ খানের এই অপকর্ম এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তারি সাথে ১৫/ ৮/ ২০২০ ইংরেজি রোজ শনিবার ঢাকার ওয়ারী থানার এস আই আলাদ্দিন খানের দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা বেগম লিজা আরিফ গংদের সাথে নিয়ে জয়নাল আবেদিন খানের জমি দখলের জন্য যায়।জয়নাল আবেদীন খান ও তার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পায় তাদের জমি দখল নিতে আসছে। তখন জয়নাল আবেদীন খান ও তার পরিবারের সদস্যরা জমি দখলে বাধা দিলে সানজিদা আক্তার লিজা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জয়নাল আবেদীন খানের সদস্যদের উপরে হামলা ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন।
হামলার শিকার হন নিরব হোসেন সহ আরো অনেকে তাদের ডাক চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। তারা উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিরব হোসেনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন ও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পূর্বে এই জমি নিয়ে সানজিদা আক্তার লিজা বাদী হয়ে ৯/৭/২০২০ তারিখ লিখিত একটি অভিযোগ বাকেরগঞ্জ থানা ইনচার্জ বরাবর করেন।
এরই মাঝে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ২১/৭/২০২০তারিখ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট জুডিশিয়াল বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন ও একই তারিখে বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেন বিজ্ঞ আদালত ও বরিশাল পুলিশ সুপার তদন্তর দায়িত্ব দেন বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক মমিনুর রহমান কে তদন্ত করে উভয়কে ২৪/৭/ ২০২০ইংরেজি তারিখে সালিশের জন্য উভয়কে আসতে বলেন। জয়নাল আবেদীন খান সালিশ মনেন কিন্তুু সঞ্জিদা আক্তার লিজা সালিশ মানি ও আসেনি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এমনকি সন্ত্রাসী সানজিদা বেগম লিজার বাহিনীর কাছে তার আপন চাচাতো দেওর ও ভাষুরাও জিম্মি। এলাকার কেউ তার ভূমিদস্যুতার প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর হামলা, নির্যাতন ও মামলার শিকার হতে হয়। যে কারণে তার ভয়ে এলাকার কেউ তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সানজিদা বেগম লিজার স্বামী ঢাকা মেট্রোপলিটন ওয়ারী থানার এস আই আলাউদ্দিন খান পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় সানজিদা আক্তার লিজা ভুমিদস্যুতা চালিয়ে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। উক্ত যে জমি সানজিদা আক্তার লিজা দখলের পায়তারা চালাচ্ছে, ওই জমির বিবরণী নিম্নে দেওয়া হলো, যাহার জে এল নং ১৪৫খতিয়ান নং ৪৯০ দাগ নং ৭১ মোট জমির পরিমাণ ১১ শতাংশ।
জয়নাল আবেদীন খান বলেন আমি বসত ভিটা গড়ার জন্য বালু ভরাট করেছি উক্ত জমিতে, কিন্তু এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু পরোলভী সানজিদা বেগম লিজা ও বিএনপি’র নেশাগ্রস্ত আরিফ খান আমার নিকট হইতে জমি দখল করার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রায় সময়ই মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করেন ।
বিষয়টি আমরা কবাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম কে অতিবাহিত করি তিনি আমাদের বলেন, তোমাদের জমির কাগজ ও সানজিদা বেগম লিজাদের জমির কাগজ নিয়ে আসতে বলবে পরিশোধে , আমি দেখি কাগজ পত্র দেখে সমাধান করতে পারিকি না, জয়নাল আবেদীন খান বলেন আমি উক্ত জায়গার কাগজপত্র চেয়ারম্যানের নিকটে যাই তাঁদের কেও জমির কাগজ নিয়ে আসতে বললে তিনি আসবেন না বলে অস্বীকার করে, আমি ঘটনা আমাদের চেয়ারম্যান স্যারকে জানাই।
চেয়ারম্যান মহোদয় কে আরো জানায় আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করার পর থেকে ভূমিদস্যু সানজিদা আক্তার লিজা আমাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ঘটনা শুনে উভয় কে ডাকে, কিন্তু সেখানেও সানজিদা আক্তার লিজা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী চেয়ারম্যানের নিকট আসেনি বরং আমাদের হুমকি দিচ্ছে, আর জমি দখলের পাঁয়তারা করে যাচ্ছে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।
এ পরিস্থিতিতে জয়নাল আবেদীন খান বাকেরগঞ্জ থানা ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ও র্যাব ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছেন।