মনপুরায় মুক্তিযোদ্ধার নাতনী ধর্ষিত, ১৭ দিন পর থানায় মামলা

অন্যদৃষ্টি অনলাইন
বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৪৫ অপরাহ্ন

মনপুরা (ভোলা)প্রতিনিধি।।

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরার কলাতলীর চরে এক মুক্তিযোদ্ধার নাতনী ধর্ষিত  হয়েছে। ঘটনার ১৭ দিন পর ২৩ শে অক্টোবর(বুধবার)  ধর্ষন মামলা রেকর্ড করেন পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চরে অভিযান চালিয়ে      ধর্ষক মোঃ বাবুকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে।

জানা যায়,  গত  ৫ই অক্টোবর শনিবার রাত ৮ টায় উপজেলার      বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চরে মুক্তিযোদ্ধা তবারক আলীর নাতনী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ধর্ষণ   করে বাবু।  এই সময় ধর্ষিতা চিৎকার করলে স্থানীয়রা ধর্ষক বাবুকে ধরে কলাতলীর চরে পুলিশ ফাঁড়িতে দিলে শালিসের নামে ছাড়িয়ে আনে ইউপি সদস্য রহমান।

ঘটনার পর থেকে শালিসের মাধ্যমে সমাধানের জন্য রহমান  মেম্বার  ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন     হাওলাদার চাপ দেন বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতার বাবা আবু সুফিয়ান।

পরে ভোলায় নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করেন ধর্ষিতা। ভোলায় মামলার পর থেকে আসামীরা বাদীর পরিবারকে হুমকি-ধামকী দেওয়ায় থানায় জিডি করেন ধর্ষিতার বাবা। এদিকে ধর্ষনের ঘটনায়  আদালতের       নির্দেশে ২৩ অক্টোবর বুধবার থানায় মামলা রেকর্ড হলে ধর্ষিতার চাচাতো ভাই        আরিফকে ইউপি সদস্য রহমানের সামনে বেধড়ক মারধর করেন আসামী বাবুর ভগ্নিপতি এমরান মাঝি, চাচাতো     ভাই জামাল মাঝি ও জহির মাঝি। এই ঘটনায়        গুরুত্বর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ধর্ষিতার চাচাতো ভাই আরিফ।

ধর্ষিতার বাবা আবু সুফিয়ান জানান, শালিসের নামে টাল বাহানা করে   ইউপি সদস্য রহমান ও    সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান   আলাউদ্দিন    হাওলাদার।  তাই বিচারের দাবীতে   ভোলায় আদালতে মামলা করি। এরপর ভোলা আদালতের নির্দেশে  মনপুরা  থানার মামলা রেকর্ড  করেন পুলিশ ।

অপর দিকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছে ধর্ষনকারির স্বজনরা। ধর্ষনকারির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন ধর্ষিতার বাবা। মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি সদস্য রহমান জানান, ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায়নি। তাই ফাঁড়ি থেকে   বাবুকে    ছাড়িয়ে আনি।  শালিসে    বিষয়টি সমাধানের   চেষ্টা করা হয়।   শালিসের সময় সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার ছিলেন বলে জানান তিনি।

এদিকে সাবেক   চেয়ারম্যান   আলাউদ্দিন হাওলাদার মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের জানান, শালিস নয় এমনি ঘটনাটি নিয়ে বসেছিলাম। ধর্ষনের ঘটনা   শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করা যায় কিনা এ ব্যাপারে  মনপুরা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট  আদালতের  এপিপি  এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন হাং জানান, ধর্ষণ মামলায় শালিস এখতিয়ার আইনে নাই।

মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা  রেকর্ড  করা হয়েছে।  প্রধান  আসামী বাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে  

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


আরো সংবাদ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com