ঝিনাইদহ শহরতলীর গোপীনাথপুর এলাকা। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি তালাবদ্ধ ফার্নিচারের দোকান থেকে উদ্ধার করা হলো তাসলিমা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ।
ঘটনার পর থেকেই তাসলিমা খাতুনের স্বামী, দোকান মালিক লাল মিয়াকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটিই পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে: এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড!
রবিবার সকালে লাল মিয়া তার ফার্নিচারের দোকানে আসেন। কিছু সময় পর স্ত্রী তাসলিমা খাতুনও দোকানে আসেন। সন্ধ্যার পরও বাবা-মা কেউ বাড়ি না ফেরায় তাদের সন্তান খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর, ছেলে দোকানের সামনে এসে দেখেন দোকানের তালা বাইরে থেকে লাগানো।
সন্দেহ হওয়ায় সে কোনোভাবে তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভেতরে প্রবেশ করেই দেখে তার মা তাসলিমার রক্তাক্ত ও নিথর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে আছে! এই দৃশ্য দেখেই সে চিৎকার করে ওঠে এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়।
রাত ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি এটি পারিবারিক কলহের জের ধরে হওয়া একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকেই স্বামী লাল মিয়া পলাতক রয়েছেন এবং তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।”
হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ ও নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করতে পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করেছে।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন: স্ত্রীকে হত্যা করে কি পালিয়ে গেল স্বামী লাল মিয়া? নাকি এই নৃশংসতার আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য?