সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন ঝিনাইদহ- ৩ কোটচাঁদপুর-মহেশপুর আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। (১৮ ই অক্টোবর শনিবার) সকাল এগারোটার সময় কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগনের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমি আপনাদেরই সন্তান ৮৬ সালে মহেশপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ৮৮ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি। আমি একজন কুটনীতিক। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০২০ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পরপর তিনবার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি।
বর্তমান আমি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। ফ্যাসিবাদ আমলে ডিবি অফিসে আমি ৫ দিন রিমান্ড সহ কারাভোগ করেছি। আমি মহেশপুর উপজেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি যদি দলের মনোনয়ন পায় তাহলে নির্বাচন করবো। দলের বাহিরে কোন নির্বাচন করার মনমানসিকতা নেই।
আমি যদি ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হই, তাহলে আমার পরিকল্পনা আছে অবহেলিত ঝিনাইদহ ৩ আসন কোটচাঁদপুর মহেশপুর উপজেলার জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা গুলো পূরণ করা হবে। খাদ্য বস্তু,বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার বিষয় উদ্যোগ নেয়া হবে। কোন দূর্নীতি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আমার পিতা একজন পৌরসভার সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সম্মানের সহিত। আমি আদর্শ পিতার সন্তান। আমার দুই কন্যা সন্তান। এক কন্যা ব্যারিস্টার পড়া শেষ পর্যায়ে। আমি দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়। আমার সন্তানও নিজেকে দলের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করবে পিতার আদর্শে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে ইনশাআল্লাহ। এখানে অনেকেই দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন আমি যদি দলের মনোনয়ন না পায় যিনি পাবেন আমি তার পক্ষে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
You must be logged in to post a comment.