সাত ইরানি নিরাপত্তা ও নৈতিকতা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে নারী, সুশীল সমাজ কর্মী ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ রোস্তামি চেশমেহ গাচি এবং পরিচালক হাজ আহমদ মির্জাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে ইরানী নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর মির্জাইকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সপ্তাহে মাহসা আমিনিকে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের পুলিশ। আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তিন দিন কোমায় থাকার পর গত শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই ইরানে হিজাববিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিব, বাসিজ বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার সালার আবনৌশ, আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর (এলইএফ) ডেপুটি কমান্ডার কাসেম রেজাই, এলইএফ প্রাদেশিক কমান্ডার মানোচেহর আমানুল্লাহি এবং ইরানি সেনাবাহিনীর কমান্ডার কিয়ুমারস হেদারির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই কর্মকর্তারা এমন সংস্থাগুলির তত্ত্বাবধান করেন যারা নিয়মিতভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী এবং ইরানের নাগরিক সমাজের সদস্য, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, নারী অধিকার কর্মী এবং ইরানী বাহাই সম্প্রদায়ের সদস্যদের দমন করতে সহিংসতা চালায়।’
নিষেধাজ্ঞার অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ইরানি কর্মকর্তাদের সমস্ত সম্পদ জব্দ করা হবে এবং তাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং বিদেশে কোনও আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ করা হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার চূড়ান্ত লক্ষ্য শাস্তি দেওয়া নয়, বরং আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।
সন্ত্রাসবাদ, পারমাণবিক অস্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কথিত সমর্থনের কারণে কয়েক ডজন ইরানি কর্মকর্তা, সংস্থা ইতিমধ্যেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে।