সিলেটে শাবি’র ভিসি পদত্যাগ না করলে দুপুর থেকে আমরণ অনশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ না করায় এবার অনশনে বসলেন শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা।বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে আন্দোলন করছিলেন ওই হলের ছাত্রীরা। আন্দোলন চলার সময় শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারী) দুপুর ১২টার মধ্যে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ভিসি পদত্যাগ না করলে এরপর থেকে তারা ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন করবেন।
ভিসি ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১৮জানুয়ারী) রাত ১০টায় নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রোমিও জানান, মঙ্গলবার সারারাত তারা গান-বাজনা, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে পার করেছেন। তারা বলেন, ওমিক্রণের সংক্রমণের কারণে তারা বিষয়টির দ্রুত সুরাহা চাচ্ছিলেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় তাদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।
রোববার চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিকেলের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। এরপর থেকে ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে তারা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন বলেন, আমার সন্তান এখন অশুভ করালগ্রাসে। এখন তারা বাবা-মা (শিক্ষক-শিক্ষিকা) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। আমি চাই আমার সন্তান (শিক্ষার্থীরা) আমার কোলে এসে মানুষ হোক। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সুবিধাভোগী শ্রেণি না। আমরা সাধারণ শিক্ষকেরা সমগ্র বাংলাদেশের নারী শিক্ষকদের ব্যানারে এখানে দাঁড়িয়েছি।
তবে শিক্ষকদের এসব অভিযোগ নাকচ করে আন্দোনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের নিয়ে এসব লেখা কোথাও লিখছি না। হতে পারে, তাদের মধ্যে থেকে এসব করা হচ্ছে, যেন আমাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে সত্যিই এ ধরনেরর কাজ কেউ করে থাকলে আমরা আন্দোলনকারীরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।