একাত্তরে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের শিল্পী সমাজ নাটক, গান, ছড়া আর কবিতার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।
শনিবার রাতে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, অপসংস্কৃতির চর্চা আর মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। যুব সমাজকে মাদক থেকে মুক্ত রাখতে সুষ্ঠ মননশীল আর সৃজনশীল কাজে তাদের যুক্ত রাখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, শিল্পকলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান প্রশ্নাতীত। তিনি ভীষণ শিল্পমনা ছিলেন। শিল্পীদের খুব কদর করতেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনাও সংস্কৃতির উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। বর্তমান সরকার দেশের শিল্পকলাকে বিকশিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আজকের এই গুণিজন সন্মাননা আমাদের নিজের স্বকীয় শিল্পের বিকাশ ও মননশীলতার চর্চাকে আরো এগিয়ে নেবে।
পরে মস্ত্রী শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য নওগাঁ জেলায় চার গুণিজনকে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২০’ সম্মাননা প্রদান করেন। এছাড়াও একটি সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
শিল্পী সন্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল মান্নান (কণ্ঠসংগীত), প্রাণতোষ সাহা (যন্ত্রশিল্প), খাদেমুল ইসলাম (নাট্যকলা) এবং খসরু চৌধুরী (সংস্কৃতি গবেষক)। এছাড়া সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে গয়েশপুর থিয়েটার সম্মাননা প্রাপ্ত হয়।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাবিন শাহরিয়ার, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে,এম মামুন খান চিশতি।