কোনো গ্রাহক ঋণখেলাপি থাকলে তাকে ঋণ দিতে পারে না ব্যাংক। তবে সে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোয় রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংককে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তানাকা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। এজন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানার মুখে পড়েছে। জরিমানার অর্থ ১৪ দিনের দেওয়ার জন্য অগ্রণী ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সোমবার অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে জরিমানা আরোপের চিঠি পাঠিয়েছে। জরিমানা আরোপের আগে অগ্রণী ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে কয়েক দফা চিঠি-চালাচালি হয়েছে। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরিমানার চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছিলাম যে, আমাদের সিআইবি এখনো প্রচলিত ধারায় চলছে। এজন্য ভুল করে এমনটা ঘটেছে। এ ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা মওকুফের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
অগ্রণী ব্যাংক সূত্র জানায়, গত বছরের জানুয়ারিতে তানাকা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সুইস কোয়ালিটি পেপারের ১৪ কোটি টাকা ও ডিসেম্বরে ১৩ কোটি টাকার ঋণপত্র খোলে অগ্রণী ব্যাংক। ঐ সময়ে গ্রুপটি ১০৩ কোটি টাকার ঋণখেলাপি অবস্থায় ছিল। পাশাপাশি সুইস কোয়ালিটি পেপারকে নতুন করে দেওয়া ঋণসুবিধার বিষয়টি এক বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) যুক্ত করেনি ব্যাংকটি। এ ছাড়া গ্রুপটির অন্য প্রতিষ্ঠান মারহাবা স্পিনিং লিমিটেডের ২৬৯ কোটি টাকার তথ্যও সিআইবিতে যুক্ত করা হয়নি। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে তানাকা গ্রুপের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের মোট পাওনার পরিমাণ ছিল ৭৭৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটির ঋণগ্রহীতার তালিকায় শীর্ষ ৬-এর মধ্যে ছিল তানাকা গ্রুপের অবস্থান।
এতদিনে সিআইবিতে তথ্য যুক্ত না করায় অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে। ফলে তথ্য সিআইবিতে যুক্ত করার দায়িত্ব যাদের ছিল, তাদের বিষয়ে বিধিমোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।