রাস্তার বেহালদশা, বেপরোয়া গতির যানবাহন, লাইসেন্স বিহীন চালক,অবৈধ নছিমন করিমন চলাচল আর ট্রাফিক সিস্টেম না মানার ফলে ঝিনাইদহের সড়ক মহাড়ক মৃত্যুফাঁদে পরণিত হয়েছে। এ কারণে গত এক সপ্তাহে জেলায় নিহত হয়েছেন ১০ জন।
জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারী ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের মদনডাঙ্গা নামক স্থানে রাস্তা উঁচু নিচুর কারণে শৈলকুপা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের কিতাব মন্ডলের ছেলে জয়ফুল আলী (২৩), সদর উপজেলার ধান হাড়িয়া গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫০),কালিচরনপুর গ্রামের শহর আলীর ছেলে সাইদার আলী (৫৫),কলমন খালী গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে সদ্য বিবাহিত রব্বানী মন্ডল (২০), সুরাট গ্রামের ইসারত জদ্দারের ছেলে আজাদ জদ্দার,হামদর ডাঙ্গা গ্রামের শহীদ মন্ডলের ছেলে মজনু মন্ডল (৪০) এবং একই গ্রামের লতাফৎ মন্ডলের ছেলে মানিক (৩৮) সহ সাত জন নিহত হয়। তারা সকলেই নির্মাণ শ্রমিক।
এ সময় আহত হন আরো ৫ জন। রাস্তায় বড় বড় খানা খন্দের কারণে গাড়ি নিয়নত্রণ হারিয়ে এ হতা হতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে সোমবার হরিণাকন্ডু উপজেলার তেলটুপি সড়কে ইঞ্জিনচালিত বিশ্বাস ব্রিক্স এর মাটি টানা লাটাহাম্বার গাড়ির ধাক্কায় রবিউল ইসলাম (৫৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি তৈলটুপি গ্রামের হাতেম আলী বিশ্বাসের ছেলে। রবিউল রাস্তার ওপর ওঠার সময় ঝাউদিয়া এলাকা থেকে বিশ্বাস ব্রিকসের একটি মাটিবোঝাই লাটাহাম্বা গাড়ি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই দিন ঝিনাইদহ চুয়াাডাঙ্গা সড়কের আনসার ক্যাম্পের সামনে ট্রাকচাপায় নিহত হন দিপালী রাণী (৪৫) ওরফে ফাতেমা আক্তার নামে এক হোটেল কর্মচারী। সোমবার রাত দশটার দিকে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার সাদিপুর গ্রামের ট্রাকচালক স্বপন কুমার দাসের প্রথম স্ত্রী। তিনি দুই মেয়েসহ ইসলাম গ্রহন করে মুসলিম ছেলের সঙ্গে বিয়ে করেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিণাকুন্ডু উপজেলার বল্টুর মোড় নামক স্থানে মোটরসাইকেল ও পাখি ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নয়ন লস্কার (২১) নিহত হন। পেশায় মহুরি নিহত নয়ন লস্কর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের খায়রুল লস্করের ছেলে। পুলিশ জানায় পাখি ভ্যানের সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক রাস্তার উপর পড়ে যায়।
এ সময় তার শরীরের উপর দিয়ে আরেকটি আলমসাধু চাপা দেয়। নিহত নয়ন লস্কর ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা আদালতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইশারত হোসেন খোকনের মহুরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।