কারোর নজরে পড়ছে না অবহেলিত শহীদ মিনারটি অবহেলিত শহীদ মিনার স্কুলের আঙ্গিনাই

শরীফ আহমেদ চাঁদ
মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ৩:৩৬ অপরাহ্ন
কারোর নজরে পড়ছে না অবহেলিত শহীদ মিনারটি অবহেলিত শহীদ মিনার স্কুলের আঙ্গিনাই

যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক।কিছুদিন বাদেই ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন।মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের কারণে যদিও এই দিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারবে কিনা তা জানা নেই।

জরাজির্ণ্য অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকা সেই শহীদ মিনার যার অবস্থান ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৪ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দখলপুর বাজার সংলগ্ন একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রায় ২ শতাধিক ছাত্রী-ছাত্রী পড়াশোনা করে।

এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয় পড়ুয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন,আগে আমাদের যখন স্কুলে অনুষ্ঠান হতো তখন আমাদের খুব অসুবিধা হতো।আমাদের স্কুলের শহীদ মিনার ভেঙ্গে গেছে,তাই ফুল দিতে চরম অসুবিধা হতো।শহীদ মিনার ভাঙ্গাচুরার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি ভালোভাবে পালন করতে পারতাম না।ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি সেই শহীদের জন্য আমরা গর্ব করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের স্কুলের শহীদ মিনার কয়েক বছর ধরেই ভাঙ্গাচুরা অবস্থায় পড়ে আছে।তাই আমাদের স্কুলের শহীদ মিনারটি অচিরেই সুন্দর করে তৈরির দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে দখলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন “দৈনিক ডেল্টা টাইমস্‌কে” বলেন,যেহেতু আমাদের স্কুলের আশে পাশে আর কোনও বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।দ্বীর্ঘ দিন আমাদের স্কুলের শহীদ মিনারটি এভাবে আংশিক ভেঙ্গেচুরে পড়ে আছে ২১ ফেব্রুয়ারির দিন আমাদের ছোট্ট ছোট্ট ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন পড়তে হয় চরম ঝুকিতে। চলতি মাসেই শহীদ মিনারটি সুন্দর করে সংস্কার করে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি।

অনেক দিন ধরে শহীদ মিনারের অংশবিশেষ ভেঙ্গে চুরে অরক্ষিত আছে আমি প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংস্কারের জন্য আবেদন করেছি অচিরেই তা সুরাহ করতে পারবো বলে জানান বিদ্যালয়টির সভাপতি রবিউল ইসলাম (রবি)।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃআব্দুর রহমান বলেন,যেহেতু করোনা মহামারীর কারণে স্কুল থেকে আমরা অনেক দূরে চলে গেছি।এখন ও পর্যন্ত আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ দেয় নি।আর তাছাড়া আমাদের সামনে ১১ তারিখে মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে সুরাহা করার চেষ্টা করবো। উপজেলাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্‌রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যলয় এবং কলেজ মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৮৬টি।এরমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।বাকি ৪০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আশা করছি যেগুলো ভেঙ্গে গেছে অচিরেই সেইসব শহীদ মিনারগুলো পূনুরায় তৈরি করা হবে।

উল্লেখ্য ইতি পূর্বে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ শহীদ মিনারটি সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদে যোগাযোগ করেও ব্যার্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


আরো সংবাদ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com