সিলেটের আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে খাদ্যের জন হাহাকার

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দ্বিতীয় দফা বন্যার পরিস্থিতিতে কত জন লোক আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তা গননা করা মশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। সিলেট নগরীসহ আশ পাশে যে দিকে দৃষ্টি যায় শুধু পানি আর পানি। প্রতিটি এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বীতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্তি মানুষ আশ্রয় নেওয়ায় বন্যা আশ্র কেন্দ্রগুলোতে তীব্র খাদ্যসঙ্কটে ভূগছেন বন্যার্তরা।

এছাড়া অনেকে বাসার উপর তলা গুলোতে অবস্থান করে পড়েছেন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে। বিদ্যুত না থাকায় ও যাতায়াতের রাস্তায় বেশী পানি থাকায় অনেকে বাজার করতে পারছেন না ঠিকমতো। প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা না পৌঁছায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা খাদ্যসঙ্কট মেটাতে নিজেদের জমানো সঞ্চয় আর মানুষের সহায়তার দিকে পথ চেয়ে আছেন।

তবে গত সোমবার থেকে নগরীর ৫৬টি কেন্দ্রে জন্য শুকনো খাবার হিসেবে গুড় ও চিড়া বিতরণ করে আসছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রাত ৮টার পর যা খোলা থাকবে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ১২২ বছরের সর্বোচ্চ বন্যার কবলে পড়েন সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ। এক মাসের ব্যবধানে ২য় ধাপের এমন ভয়াবহ বন্যায় দিশেহারা মানুষ। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র বন্যায় প্লাবিত। প্রথমদিকে যাদের বাসা-বাড়ীতে পানি উঠেছিল শুরুতেই তারা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেন।

কিন্তু এবারের বন্যার ভয়াবহতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় শেষের দিকে বন্যায় আক্রান্তরা অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা খুঁজে পাননি। কেউ আত্মীয় ও পরিচিতজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন কেউ নিচ তলা  থেকে বহুতল ভবনের উপর তলার দিকে শিফট হয়েছেন। যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ায় ত্রাণ কার্যক্রমেও ভাটা পড়েছে।

বেসরকারী, সামাজিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করা হলেও সরকারী ভাবে খাবার দিতে কোন উদ্যোগ না থাকায় আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


এ বিষয়ে আরো সংবাদ

Categories

%d bloggers like this:
%d bloggers like this: