শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে দুটি বিষয়কে “না” বলতে হবে-
(১)খাবারের সময় মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
(২)আপনার শিশুকে জোর করে খাওয়াবেন না
পাঁচটি বিষয়েকে “হ্যাঁ” বলতে হবেঃ
১)একই ধরনের খাবার বারবার দেওয়া যাবে না।
যেমন আপনি যদি ডিম দিয়ে থাকেন প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ না দিয়ে আজকে ডিম সিদ্ধ দিলেন,কালকে ডিম ভাজি করে দিলেন এর পরদিন ডিমের পুডিং করে দিলেন।
√আপনি যদি দুধ দিয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন তরল দুধ না দিয়ে আজকে তরল দুধ দিলেন কালকের সেমাই করে দিলেন এর পরের দিন পায়েস করে দিলেন।
এভাবে খাবারের মধ্যে বৈচিত্র্যতা নিয়ে আসতে হবে এতে করে একটা শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
√পরিবেশের বৈচিত্র তার মধ্যে আছে শিশুর খাবারের টেবিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুর খাবারের জন্য ব্যবহৃত থালা, চামচ এবং বাটি বিভিন্ন রং এর হতে হবে অর্থাৎ আকর্ষণীয় হতে হবে। এতে করে শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকবে।
(২)শিশুকে পরিবারের সবার সাথে বসিয়ে খাওয়াতে হবে। মা শিশুর সামনে বসবেন চোখের সাথে চোখ রাখতে হবে।
(৩)আপনি যখন খাবার রান্না করবেন তখন আপনার শিশুকে পাশে বসিয়ে রাখবেন এবং দেখিয়ে দেখিয়ে রান্না করবেন এতে করে খাবারের প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হবে।
(৪)শিশুকে খাবার বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে অর্থাৎ আপনি মাঝে মাঝেই তাকে জিজ্ঞেস করবেন তুমি কোন ধরনের খাবার খেতে চাও? তোমার কোন ধরনের খাবার পছন্দ এবং আপনি ওই ধরনের খাবার তাকে দিবেন।
(৫)শিশুকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারগুলো দিতে হবে। আর এই ধরনের খাবার বাড়ির আশেপাশেই পাওয়া যায়। যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন বি১,বি৬,বি১২,ফলিক এসিড, জিংক,আয়োডিন থাকে এ সমস্ত খাবার বেশি করে দিতে হবে।যেমন মাছ, মাংস, দুধ,ডিম,সবুজ শাকসবজি,বাদাম,মটরশুটি ইত্যাদি। মাছের মধ্যে যে সমস্ত মাছের মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে সেগুলো শিশুকে দিবেন। শিশুদের জন্য সামুদ্রিক মাছ গুলো সবচেয়ে ভালো।
লেখক : প্রভাষক, সামজিক বিজ্ঞান বিভাগ
বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা।