শরীয়তপুর সদর উপজেলা ডোমসার বাজারের লোকমান খান(৬৫)নামে এক শিরিক প্রতিবন্ধী ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে মামলার ভয় দেখিয়ে পালং মডেল থানার(ওসি)মোঃ আক্তার হোসেনের নাম ভাঙ্গীয়ে সঁত্তুর হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বোরহান খান(৫০)নামে এক সমাজ প্রতির বিরুদ্ধে।
ভুক্ত ভোগী লোকমান খান জানান গত ২০শে মে ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খান তার ব্যক্তিগত অফিসে আমাকে ডেকেনিয়ে বলেন আমার প্রবাসী ছেলে শহিদুল ইসলাম দুবাই থেকে বাংলাদেশ আসার সময় নাকি, চট্রগ্রাম জেলার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ৩টি স্বর্ণের বার এবং ১০০গ্রাম সর্ণের অলংকার ও মোবাইলসেট আমার ছেলের কাছে দিয়েছে,আমার ছেলে ওই মালামাল আত্বসাৎকরে নাকি পালিয়েছে, কিন্তু এব্যপারে আমার কিছুই জানা নাই, কারন আমার ছেলে শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী নিয়ে ঢাকায় থাকেন সে আমার খোঁজ খবর রাখেন না।
এই ঘটনার ২দিন পরে আমার প্রতিবেশী বোরহান খান আমাকে বলে পালং থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে ওসি সাহেবকে টাকা দিতেহবে টাকা নাদিলে আমার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরা কারবারি মামলা হবে এই বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করে আমি নিরুপায় হয়ে বোরহান খান কে সঁত্তুর হাজার টাকা দিয়েছি আরও ত্রিশ হাজার টাকার জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে।
এব্যপারে ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খান জানান জাজিরা উপজেলা জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সেলিম বেপারী তিন ব্যক্তিকে নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো এবং আমাকে জানিয়েছে ডোমসার বাজারের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী লোকমান খাঁ ছেলে শহিদুল ইসলাম দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসার সময় নাকি চট্রগ্রাম জেলার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্বর্ণের বার ও স্বর্ণের অলংকার নিয়ে পালিয়েছে আমি লোকমানকে ডেকে এ ব্যপারে তার কাছে জানতে চেয়েছি তিনি আমাকে বলেছেন আমার ছেলের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নাই কিন্তু মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে বোরহান খান টাকা নিয়েছে এ ব্যপারে লোকমান আমাকে কিছু বলে নাই তবে বোরহান খাঁ থানায় গিয়ে দরবার সালিশ করেন এবং ওসি সাহেবের সাথে তার সক্ষতা রয়েছে।
এ ব্যপারে মুঠোফোনে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আক্তার হোসেনের কাছে বোরহান খান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন বোরহানকে অমি চিনি ঢাকা দয়াগঞ্জ তার বাড়ি আছে মাঝেমধ্যে থানায় আসেন।
ডোমসার বাজরের ভাঙ্গারী ব্যরসায়ী লোকমান খানের ছেলে দুবাই প্রবাসী শহিদুল ইসলাম স্বর্ণ নিয়ে পালিয়েছে এব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল সিকদার আমাকে ফোন করে ছিলো এবং ওরা কয়েকজন লোক থানায় এসেছিলো তবে লোকমান খানের কাছ থেকে আমার কথা বলে বোরহান টাকা নিয়েছে এ বিষয় আমার জানা নাই তবে আমি বোরহানকে ফোন করে বিষয়টি জানতেছি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত মোঃ বোরহান খানের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে তার কোন সাক্ষৎ পাওয় যায়নি।