লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জলিল সর্দার হত্যা মামলায় হারুন রশিদ নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই মামলায় তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জলিল সর্দার রায়পুরের উদমারা গ্রামের সিরাজ সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান মিস্ত্রি ছিলেন। দণ্ডিত হারুনুর রশিদ উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের মো. হযরত বেপারীর ছেলে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম ওরফে কালু ব্যাপারী, মো. জাহিদ ওরফে আবুল কাশেম, তোফায়েল পালোয়ান ও আক্তার হোসেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মামলায় বলা হয়, আসামি হারুনুর রশিদ পার্শ্ববর্তী বেড়ীর পাশে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় জলিলকে। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পর দিন বেলা ১১ টার দিকে আওয়াল দেওয়ানের ধানক্ষেত থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজ সর্দার পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি মামলা থেকে আক্তার হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে চারজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে খালাস ও যুবক হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।