রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসা সামগ্রী চুরির ঘটনায় নির্দোষ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, চুরির ঘটনায় আটক লিফট ম্যান আল-আমিন নির্দোষ। তাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। মূল দোষীরা আড়ালে।
জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট, সকাল আনুমানিক ৮ টার সময় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় স্টোরের সামনে থেকে ১৬ কার্টুন চিকিৎসা সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
এ ঘটনায় ঐ দিনই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। যাহার জিডি নং ৩৩৩।
এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই সিদ্দিক আহমেদ বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে হাসপাতালের লিফট ম্যান আল-আমিন এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লিফট ম্যান আল-আমিনকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চুরি হওয়া কিছু চিকিৎসা সামগ্রী উদ্ধার করেছি। বাকি সামগ্রী চিটাগাংয়ে পাঠিয়েছে বলে আটক আল-আমিন জানিয়েছে।’
অনেকে বলছেন হাসপাতালের লোকজনের সম্পৃক্ততা ছাড়া এমন ঘটনা ঘটানো কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
হাসপাতালের একজন নিরাপত্তাকর্মী (আনসার সদস্য) বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের মালামাল ভেতরে ঢুকলে ও বাহির হলে চেক করার কোন নির্দেশনা দেয়নি কখনো। যে কারণে কোন মালামাল হাসপাতালে ঢুকলে বের হলে আমারা কখনো জিজ্ঞেস করিনা।’
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত হাসপাতালে যত মালামাল ঢুকেছে বের হয়েছে তার কোন গেট পাশ কখনো আমরা দেখিনি। যার ফলে আমাদের কোন রকম বুঝার সুযোগ নেই! কোন মালামাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বের হচ্ছে না চোর তা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, ‘এই ঘটনার মূল হোতা স্টোর রুমের দায়িত্বে থাকা ডলি মেডাম। তিনি তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমানের বিশ্বস্ত। লিফট ম্যান আল-আমিনকে দিয়ে ডলি মেডাম কার্টুন গুলো নামাইছে। কিন্তু আজ আল-আমিন অসহায় বলে এর কেউ কোন প্রতিবাদ করতাছে না। আপনারাই বলেন স্টোর রুমের কেউ জড়িত না থাকলে এতো কার্টুন মাল বের করা সম্ভব?’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান ও স্টোর রুমের ডলির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।