নোটিশ :
সংবাদকর্মী নিচ্ছে অন্যদৃষ্টি। আগ্রহীগন সিভি পাঠান- 0nnodrisrtynews@gmail.com
২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস, এক ম্যাচে ৫১৫ রান!

ক্রীড়া ডেস্ক
রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের কীর্তি গড়েছে। এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উভয় দল মিলে সংগ্রহ করেছে ৫১৫ রান! যা ঘটেছে শনিবার রাতে মুলতান সুলতান ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মধ্যকার ম্যাচে।

রাওয়ালপিন্ডিতে পিএসএলের প্রতি রাতেই দেখা দিচ্ছে রান বন্যা। গত দুই রাতে আগে ব্যাট করে ২৪০ ও ২৪২ রান করেও রেহাই পায়নি পেশোয়ার জালমি।

অবাক করা বিষয় হলো, বলের দ্বিগুণ রান তাড়া করে পেশোয়ারকে হারানো সেই দুই দলই মুখোমুখি হয়েছিল শনিবার। ফলে আজও যে রানের ফোয়ারা ছুটবে, তা অনুমেয়ই ছিল।

কিন্তু কে ভেবেছিল, সেই রান দুটি দলকেই ইতিহাসের সাক্ষী করে তুলবে। এ দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় মুলতান সুলতান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৫৩ রান তোলে শেষ হয় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ইনিংস। ফলে জয় পরাজয় ছাপিয়ে দুটি দল আলোচনায় উঠে আসে তাদের সমষ্টিগত রান নিয়ে। দুই দল মিলিয়ে ইতিহাস সর্বোচ্চ ৫১৫ রান সংগ্রহ আসে এক ম্যাচে।

২৬২ রান সংগ্রহ করতে এদিন মুলতান ভর করেছিল উসমান খানের কাঁধে। ৪৩ বলে ১২০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সাথে পিএসএলে সবচেয়ে বলে শতক হাঁকানোর রেকর্ডটাও নিজের করে নেন উসমান, মাত্র ৩৬ বলে তিন অংকের ঘর স্পর্শ করেন তিনি। আগের ম্যাচেই সতীর্থ রাইলি রুশোর গড়া ৪১ বলে শতকের রেকর্ডটা ভেঙে দেন তিনি।

তাছাড়া এইদিন মুলতানের হয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৯ বলে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। সেই সাথে টিম ডেভিড ২৫ বলে ৪৩ ও কাইরন পোলার্ড করেন ১৪ বলে ২৩ রান। রুশো এইদিন আউট হন ৯ বলে ১৫ রান করে। ফলে সব মিলিয়ে ৩ উইকেটে ২৬২ রান করে থামে মুলতানের ইনিংস।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৬৮ রানের ভেতর আরো দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে কোয়েটা। সেখান থেকে উমায়ের ইউসুফ ও ইফতেখার আহমেদের ব্যাটে ঘুরে দাড়ায় তারা। মাত্র ৬০ বলে ১০৪ রান যোগ করেন দু’জনে। দুজনের জুটি ভাঙে ৩১ বলে ৫৩ রান করে ইফতেখার বিফায় নিলে।

দুই বলের ব্যবধানে উমায়েরের উইকেটও হারায় কোয়েটা, ৩৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আর শেষদিকে বাকিদের সম্মিলিত চেষ্টায় আড়াই শ’ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে কোয়েটা। সম্ভাবনা জাগিয়েও ২৫৩ রানে থেমেছে দল, ৯ রানে হেরেছে তারা।

এই জয়ে বড় ভূমিকা ছিল আব্বাস আফ্রিদির। ৪৭ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। আজ হ্যাটট্রিকেরও সাদ পেয়েছেন আব্বাস। ১৭তম ওভারে পরপর দুই বলে মোহাম্মদ নাওয়াজ ও উমায়েদ আসিফকে ফেরান আব্বাস। আর ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ফেরান উমর আকমলকে। ফলে হ্যাটট্রিক পূরণ হয় তার।

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


আরো সংবাদ