“চা বিক্রেতা থেকে কোটিপতি ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী”

অন্যদৃষ্টি অনলাইন
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা অাতাউর রহমান। ফাইল ছবি

এনামুল হক, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি।।

ভারতে চা বিক্রেতার ছেলে প্রধান মন্ত্রী হলেও নওগাঁয় নিজেই চা বিক্রেতা থেকে কোটিপতি। নওগাঁর পোরশা উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের “ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা অাতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ,দুর্নীতি,অনিয়ম ও অসদাচরণেরর অভিযোগ অত্র এলাকাবাসীর।তার অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে অাজ বৃহঃবারে এলাকাবাসী গাঙ্গুরিয়া ভূমি অফিস ঘেরাও করে এই অনিয়মের প্রতিবাদ ও এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অপসারন দাবি করে।পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে যাওয়াতে পোরশা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান (হাবিব) ফিরোজ মাহমুদ,সহকারী কমিশনার ভূমি ও পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করলে,তিনি কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ শোনেন।একই উপজেলার নোনাহার গ্রামের অামিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন,তিনার জমি খাজনা বাবদ ৪৮০০/ টাকা নিয়ে ২৩২০/ টাকার খাজনার রশিদ দেন।গাঙ্গুরিয়ার হাবিবুর বলে তিনি খাজনা কাটতে অাসলে,অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় তাকে অফিস থেকে বের করে দেন।এলাবাসীর বলে,তিনি সবসময় তোফাজ্জল নামের এক দালাল নিয়ে অফিসে এসে হাজিরা খাথায় স্বাক্ষর করে চলে যান এবং প্রকাশ্যে তোফাজ্জল তার টেবিলেই তার স্বাক্ষর করা খাজনা বহি থেকে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে খাজনার রশিদ সরবরাহ করেন।অারো হাজারো অভিযোগ করে এলাকাবাসী এই দুর্নিতিবাজ চাকুরীজীবির বিরুদ্ধে।সাংবাদিকগন তাদেরর কোন তথ্যের জন্য তাকে ফোন করলে তাদেরও সঙ্গে খারাপ অাচরন করেন। তোফাজ্জলের ব্যাপারে তারই সহকর্মী হাসিবুর রহমান বলেন,তার এখানে তিন মাস কর্মদিবসের মধ্যে প্রায় দুই মাস ছেলেটি এখানে এসেছে।

ইউএনও সকল অভিযোগ শুনে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যাবস্থা গ্রহনের অাশ্বাস দেন ও তাকে উপস্থিত মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেন।তিনি অারো বলেন,অাতাউরের বহিরাগত লোক নিয়ে অফিসে অাসার ব্যাপারে অামি অাগেও শুনেছি।ইউএনও এলাকাবাসীকে বলেন,এর পরে সে যদি কোন ঘুষ নেয়,অসদাচরণ করে এবং বহিরাগত লোক নিয়ে অফিসে অাসে,অাপনারা সঙ্গে সঙ্গে অামাকে জানাবেন।

সাপাহারের অাশড়ন্দে অাতাউরের নিজ গ্রামের লোক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলে,অাতাউরের বাবা গিয়াস উদ্দীন ছিলো গ্রামের চা বিক্রেতা এবং অাতাউরও তার বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করতো কিন্তু ভূমি অফিসে চাকুরী পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।নামে বেনামে অনেক জমি করেছে,সাপাহারে ফ্লাট,ট্রাক,অনেক বাগান ও বড় বড় পুকুর,দিঘী লীজ নেওয়া অাছে।অাতাউর বলে,এই ভূমি অফিসে অাসা তার প্রায় তিন মাস হচ্ছে,তার অাগে সে বাকরইল ভূমি অফিস,পত্নীতলায় ৪৭দিন,তার অাগে বহবল ভূমি অফিস, পত্নীতলায় তিন মাস চাকুরী করেছে।সব জায়গাতেই অনিয়মের কারনে সে স্থায়ী হতে পারেনী।তার অাগে সে কৃষনপুর ভূমি অফিস,পত্নীতলায় দীর্ঘদিন থেকে সেখানে প্রায় তিনশত বিঘা সরকারী খাস জমি ব্যাক্তি মালিকানায় পত্তনী করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে এবং এই বিশাল অনিয়মের জন্য দুর্নিতি দমন তার বিরুদ্ধে মামলা করে,তা এখনো চলমান রয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বলে,তার বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ কিন্তু তার অদৃশ্য বিশাল ক্ষমতার দাপনে সব কিছুতেই পার পেয়ে যান,তার জায়গায় অামরা হলে অনেক অাগেই অামাদের চাকুরী চলে যেতো।গাঙ্গুরিয়ার ব্যাপারেও তার কিছুই হবেনা।

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


এ বিষয়ে আরো সংবাদ

Categories