ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আকাশে রাতের অন্ধকারে শক্তিশালী আলোর ঝলকানি দেখা যাওয়ার পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বাজানো হয়, কিন্তু কিছুই ঘটেনি। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো এক টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা সত্ত্বেও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়নি।’ খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে কিয়েভের আকাশ এক উজ্জ্বল আলোকসজ্জায় আলোকিত হয়। একটি রহস্যময় আলো যা প্রথমে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও পরে কৌতূহল ও অনেক জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেয়।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আকাশে রাতের অন্ধকারে শক্তিশালী আলোর ঝলকানি দেখা যাওয়ার পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বাজানো হয়, কিন্তু কিছুই ঘটেনি।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আকাশে রাতের অন্ধকারে শক্তিশালী আলোর ঝলকানি দেখা যাওয়ার পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বাজানো হয়, কিন্তু কিছুই ঘটেনি।
কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কৃত্রিম উপগ্রহ। কিন্তু নাসা বিবিসিকে জানিয়েছে, বুধবার যে স্যাটেলাইটটি বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করতে পারে, সেটি তখনও কক্ষপথে ছিল (কিয়েভ সময় বুধবার রাত ১০টার দিকে) কিন্তু রাতের মধ্যে তা পড়ে যেতে পারে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বিশ্বাস করে, আলোর ঝলকানি একটি উল্কাপিণ্ডের কারণে হয়েছিল। যাইহোক, ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হচ্ছে যে এটি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে ঘটেনি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা একটি পরিচিত দৃশ্য হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল আলোর ঝলকানির ভিডিও প্রচার করার পরে, ইউক্রেনের সোশ্যাল মিডিয়া এটি কী হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা ও মীমে ভরে যায়।
সর্বাধিক জনপ্রিয় ধারণাটি ছিল, এটি এলিয়েনদের দ্বারা সৃষ্ট হতে পারে। এক নোটিশে দেশটির বিমান বাহিনী জানিয়েছে, দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উড়ন্ত সসার মীমগুলোর সঙ্গে মজা করার সময় মীম তৈরি করতে অফিসিয়াল এয়ার ফোর্স প্রতীকগুলো ব্যবহার করবেন না।