কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে নাইমুর রহমানের সাথে কালীগঞ্জেের কাশিপুর গ্রামের এক মেয়ের ফেসবুকে পরিচয়।এক পর্যায়ে গড়ে উঠে গভীর প্রেমজ সম্পর্ক।কিছুদিন যাবত সেই সম্পর্কের টান পোড়নে ক্ষেপে উঠে প্রেমিক।তাই মেয়ের পরিবারকে জব্দ করতেই প্রশাসনকে বাল্য বিয়ের ভূয়া অভিযোগ দেয় প্রেমিক যুবক নাইমুর রহমান (২০)। এদিকে এমন খবর পেয়েই তাৎক্ষনিক কনের বাড়িতে হাজির হয় প্রশাসন। কিন্তু সেখানে বিয়ের কোন আলামত না পাওয়ায় কালীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ হাবিব ঐ যুবককে ডেকে এনে ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে নাইমুর রহমান নামে এক যুবক মোবাইল ফোনে তাকে জানায় কাশীপুর গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছে।এমন খবর পেয়েই তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঐ বাড়িতে হাজির হন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পান বিয়ের প্রস্তুতি বা কোন আলামতই নেই। এরপর তিনি ভূয়া অভিযোগকারীকে কনের বাড়িতে আসতে বলেন।এর কিছু সময়ের মধ্যেই নাইমুর রহমান কনের বাড়িতে হাজির হয়। কিন্তু সে তার দেওয়া অভিযোগের কোন সত্যতা বা প্রমান দিতে ব্যর্থ হয়।
ভূয়া অভিযোগের বিষয়ে যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করে ফেসবুকে প্রেমজ সম্পর্কের প্রতারনার জেরেই সে মেয়ের পরিবারকে জব্দ করার জন্য এমন কাজটি করেছে। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত করে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী ভূয়া অভিযোগকারী নায়মুরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।