এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি) জাতীয়করণে কতিপয় প্রস্তাবনা

মোঃ শরিফুল ইসলাম
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি) জাতীয়করণে কতিপয় প্রস্তাবনা নিম্নে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো যা বাস্তবায়িত হলে জাতীয়কেরণে খরচ খুবই কম।

১. এমপিও, ননএমপিও ও সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়া সকল পদে নিয়োগ বন্ধ করা।

২. নন এমপিও/ নতুন প্রতিষ্ঠান (সকল স্তর) এমপিওভূক্তি স্থগিত রাখা।

৩. এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ১,০০০০০ (এক লক্ষ) শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে, নন এমপিও (সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারগিরি) শিক্ষকদের শূণ্য পদে পদায়ন করা (প্রয়োজনে কলেজ থেকে মাধ্যমিক স্তরেও হতে পারে)।

৪. যেসব কলেজে বানিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ আছে কিন্তু কাম্য সংখ্যক (প্রতি বর্ষে কম পক্ষে ৩০ জন হওয়া উচিৎ) শিক্ষার্থী নেই সে সকল প্রতিষ্ঠানের বানিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ বন্ধ করে শিক্ষক-কর্মচারিদেরকে যেখানে বানিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ চালু রাখা হবে সেখানে বদলী/পদায়ন করা।

৫. স্নাতক (পাস) চালু আছে এমন প্রতিষ্ঠানে প্রতি বিষয়ে সর্বোচ্চ ২ (দুই) জন শিক্ষক রেখে অতিরিক্ত শিক্ষকদেরকে শূণ্য পদে বদলী করা। প্রতি বিষয়ে ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) জনের অধিক শিক্ষার্থীর জন্য ২ (দুই) জন শিক্ষক দেয়া যেতে পারে।

৬. উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও  ডিগ্রি (স্নাতক সম্মানসহ) কলেজে ১ (এক) জন করে গ্রন্থাগারিক প্রভাষক/ শিক্ষক ও শারীরিক শিক্ষা প্রভাষক/ শিক্ষক  এবং স্কুল এন্ড কলেজে ২ (দু)ই জন শারীরিক শিক্ষা প্রভাষক/ শিক্ষক রাখা। (বর্তমানে ডিগ্রি কলেজে ২ (দুই) জন গ্রন্থাগারিক শিক্ষক রয়েছেন)।

৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত আয় সরকারি কোষাগারে জমা নেয়া।

যেহেতু জাতীয়করণ বিষয়টি সময় সাপেক্ষ তাই জাতীয়করণের পূর্বে নিম্নোক্ত ক ও খ বিষয় দু’টি শিক্ষক-কর্মচারিদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে করা দরকার-

(ক) এখনই কোন খরচ ছাড়াই সরকারের পক্ষে যা করা সম্ভব

১. নিবন্ধন ও ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলী জরুরী যা করতে সরকারের কোন আর্থিক খরচ নেই। এ বদলী মিউচুয়াল ও শূন্য উভয় পদে হতে পারে। বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বদলী বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।

২. ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রদান বিষয়টির কার্যক্রম ২০২০ সালে শুরু হলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। ইএফটি বাস্তবায়িত হলে বদলীকৃত শিক্ষকদের ইনডেক্স ও বেতন ট্রান্সফার অত্যন্ত সহজতর হবে।

৩. প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায়ের খাতসমূহ নির্দিষ্ট করা। স্কাউট, ক্রীড়া ও জেনারেল ফান্ডসহ বিভিন্ন ফান্ডের ব্যাংক হিসাব আলাদা করা। জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও আইসিটি’র মাধ্যমে নিয়োমিত তদারকিসহ ত্রৈমাসিক ব্যাংক ইস্টেটমেন্ট গ্রহণ করা।

৪. সকল প্রকার বেতন/ ফিস ব্যাংক/ মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে আদায় করা।

৫. প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের ডাইনামিক ওয়েবসাইট থাকবে যা শিক্ষা বোর্ড ও স্ব স্ব অধিদপ্তরের সাথে লিংক থাকবে।

৬. এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি প্রথা বাতিল হলে দূর্নীতি ও কোন্দল নিরসন হবে।

(খ) জাতীয়করণ/ সরকারীকরণের পূর্বে –

১. উৎসব ভাতা সরকারী চাকরিজীবিদের ন্যায় করা।

২. চিকিৎসা ভাতা ৫০০/- টাকা থেকে বাড়িয়ে সরকারী চাকরিজীবিদের ন্যায় ১৫০০/- টাকা করা।

৩. বাড়ী ১০০০/- টাকা থেকে বাড়িয়ে সকলের জন্য ৫০০০/- টাকা- ৭০০০/-টাকা করা।

লেখক: শিক্ষক, মিরপুর মাহমুদা চৌধুরী কলেজ, মিরপুর, কুষ্টিয়া। sharif.stc@gmail.com Mobile: 01911220440

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


এ বিষয়ে আরো সংবাদ

Categories

%d bloggers like this:
%d bloggers like this: