শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই এর হস্তক্ষেপে শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড পশ্চিম কোটাপড়া গ্রামে ডোম গোপাল নামে এক জুলুমকারী ও ভূমি দস্যু’র হাত থেকে রক্ষা পেলো অমুল্য চন্দ্র বালা নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার।
স্থানীয় প্রতিবেশী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, যে গত ৩০ শে জুলাই মুক্তিযোদ্ধা অমুল্য চন্দ্র বালার রোপণকৃত গাছকেটে বসতবাড়ী জবর দখলের চেষ্টা করছিলেন গোপালল চন্দ্র দাস নামে এক জুলুম কারী পরিবার । পালং মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও তেমন কোনো উপকার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। কারণ গোপাল দাসের ছেলে বাসুদেব চন্দ্র দাস পালং মডেল থানার পরিচ্ছন্ন কর্মী , গবিন্দ চন্দ্র দাস পুলিশ কনস্টেবল ও জয়দেব দাস এলাকার এক জন চিহ্নিত মাদক সেবী ও মাদক বিক্রেতা।
মুক্তিযোদ্ধা অমুল্য চন্দ্র বালা নিরুপায় হয়ে ৩১ জুলাই শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি পুনরায় পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ প্রদান করেন। তবুও বিষয়টি আমলে নেয়নি পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ।
গত ১ আগষ্ট এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক করতোয়া এবং অন্যদৃস্টি ডট কম পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ী জবর দখলের চেষ্টা এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৩ আগষ্ট শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই সরজমিনে গিয়ে দু-পক্ষের উপস্থিতিতে উক্ত ভূমির কাগজ পত্র দেখে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অমুল্য চন্দ্র বালা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জুলুম-নিপিড়নের হাত থেকে দেশ ও জাতীকে বাঁচাতে যুদ্ধকরে ছিলাম। আমি বৃদ্ধ বয়সে নিজেই জুলুম নিপিড়নের শিকার হয়েছি। পালং মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেও তেমন কোন সফলতা পাইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ডোম গোপালের জুলুম-নিপিড়ন থেকে একটু স্বস্তি পেলাম।