স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈকত দাস। তার পরিবর্তিত নাম মো. সৈকত ইসলাম।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিনি হলফনামার মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন। সৈকতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৈকতের সহপাঠীরা জানান, সৈকত শাহ আজিজুর রহমান হলে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই সে নামাজ-রোজা করছিল।
সৈকত ইসলাম বলেন, আমি স্বেচ্ছায় ও কোনো রকম চাপ ছাড়াই ইসলাম গ্রহণ করেছি৷ ২ বছর আগেই এই পরিকল্পনা করেছিলাম। আজকে অফিশিয়াল ঘোষণা করলাম। পরিবারের বিষয়ে তিনি বলেন, বাবা-মা মেনে নিবেন না এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করবো৷ আমার দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো।
এদিকে তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবরে ফেসবুকে শুভ কামনা জানাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুরসালিন হৃদয় জানান, এই ছোটো ভাই যে হিন্দু ছিলো আজকে জানলাম। এক সাথে হলে থাকতাম, কত দিন নামাজ পড়ছি, এতো ভদ্রছেলে হয় না।’
শেখ রাহাত হোসেন মুন্না বলেন, সৈকত আর আমি একই হলে থাকতাম। হলের অন্যতম একজন ভদ্র ছেলে৷ দেখা হলেই সব সময় সালাম দিতো।
তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারুল ওহাব বলেন, আল্লাহ তাঁর জন্য তাকওয়াময় সুন্দর জীবন নসীব করুন এবং নিরাপদে রাখুন।
অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সৈকত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে জ্ঞান ও মেধা পরিপক্ক। সে এই নিয়ে ৮ বছর গবেষণা করার পর মুসলিম হওয়ার ঘোষণা করেছে। ২ বছর ধরে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলছিল। আজকে আইনগতভাবে হলফনামার মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছে। সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানিয়েছে। মুসলিম হিসেবে বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছে।
এসময় তিনি সৈকতের শিক্ষক, বন্ধু, সিনিয়র-জুনিয়রদের তার প্রতি সদাচরণের আহ্বান জানান। তাছাড়াও কাগজপত্রে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন সদয় হন এই আহ্বান জানান তিনি।
You must be logged in to post a comment.