ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী নিশাত তাসনিম উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে এর বিচারের দাবি জানিয়েছে সহপাঠীরা।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় গাংনী বাসস্ট্যান্ডে অভিযুক্ত উর্মির স্বামী প্রিন্সের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় তারা অভিযুক্ত প্রিন্সের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এছাড়া একই দাবিতে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনেও মানববন্ধন করেন তারা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উর্মিকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। উর্মির শশুরের দাবি তিনি ঘরের জানালায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে নিহত উর্মীর পিতা গোলাম কিবরিয়া জানান, উর্মির স্বামী প্রিন্স নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাকে মারধর করে হত্যা করেছেন। উর্মীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন তারা।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাতে ঘটনা জানার পর লাশটি থানায় নিয়েছি। সকালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। নিহত উর্মির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কিন্তু হত্যা কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে জানা যাবে। অভিযুক্ত প্রিন্স ও তার বাবা পুলিশ হেফাজতে আছেন।
উল্লেখ্য, ৪ বছর আগে গাংনীর পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী হাসেম শাহ এর ছেলে আসফাকুজ্জামান প্রিন্সের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সূত্রে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় উর্মির৷ তাদের ঘরে ১৩ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তানও আছে।