বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখার নির্দে দিয়েছেন আদালত।
ফলে বহু প্রত্যাশিত এ নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ মুহুর্তে গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গেছে। ৮৯ লাখ আবেদন সম্পূর্ণ হয়েছে এ নিয়োগের।
১৮ মে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ-নির্দেশনা আসার কথা আছে। তবে, এনটিআরসিএ বলছে, আইনজীবীদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) এনটিআরসিএর ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার আদেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, একইসঙ্গে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষার সনদধারীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত মনে করে আদালতে গিয়েছিলেন তাদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করার নির্দেশ দিতে হবে। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বৃহস্পতিবার এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বলেন, রায়ের বিষয়ে কয়েকটি মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে এখনও রায়ের কপি হাতে পাইনি। আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করব এবং পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আইনজীবীরা আদেশের বিষয়ে এখনো পরিস্কার নয়। ১৮ মে পরবর্তী নির্দেশনা আসবে। সেদিন কোন আদেশ নির্দেশনা আসলে সে প্রেক্ষিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা যা করেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ীই করেছি। আর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো পদক্ষেপ আমরা নেয়া হয়নি।
এছাড়া যে বিষয়ে বলা হয়েছে আমরা আদালতের নির্দেশনা ভায়োলেট করেছি সে নির্দেশনা মানা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে লিখিতভাবে আইনজীবীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশ করার দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)।
জানা গেছে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে।
কিন্ত ২ বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি করে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টাব্দে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৫৪ হাজার পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা। যা শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার (৬ মে)।
শুনানি শেষে রিটকারী আইনজীবীরা জানান, এখানে পৃথকভাবে ৫৫৭ জনের পক্ষে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন এর আগে এসব সনদধারীদের ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দিলেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।