বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচনে এবং ম্যানেজিং কমিটির বিধিমালা থেকে তিনটি শব্দ বাদ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৫ অক্টোবর) এ রুল জারি করেন।
বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোনয়ন বা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা ২০০৯ থেকে ‘শিক্ষানুরাগী‘, ‘সমাজসেবক’ ও ‘জনপ্রতিনিধি’-এই শব্দগুলো কেন কর্তন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
শিক্ষা সচিব, রাজশাহীর উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ডা. তাসমিয়া মতিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. সালেহ মাহমুদ মিয়ার করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বিধিমালায় সভাপতি নির্বাচন বা মনোনয়নের ক্ষেত্রে ওই তিনটি শব্দ থাকার কারণে অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিতরা সভাপতি হওয়ার সুযোগ পান।
এটা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের যোগ্যতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেমন- প্রাইমারি স্কুল, ডিগ্রি কলেজ এবং ফাজিল-কামিল মাদরাসায় গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে ডিগ্রি পাসের যোগ্যতা থাকতে হয়।
তাই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি বিধিমালা ২০০৯ থেকে উপরোক্ত তিনটি শব্দ উঠিয়ে দেওয়া হলে মাধ্যমিক স্কুল বা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ অথবা দাখিল-আলিম মাদরাসায় শিক্ষিত যোগ্যতাসম্পন্ন লোকজনের সভাপতি হওয়ার দ্বার উন্মোচিত হবে।