প্রাথমিকের সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পাবে : গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

অন্যদৃষ্টি অনলাইন
মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২৯ অপরাহ্ন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও আগের বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল।

আগের বিধিমালা অনুসারে এসএসসি বা এইচএসসি পাস করা শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছিল না। এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন ও পুরাতন বিধিমালায় নিয়োগ পাওয়া সব সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পাবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

একই সাথে সব শিক্ষককে ১৩তম গ্রেডে বেতন দিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতে অর্থমন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। সম্প্রতি গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বিভাগে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র  জানায়, গত ১১ অক্টোবর অর্থসচিবের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিধি জারি হওয়ার আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩ এর সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠাতে চিঠিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, গতবছরের নভেম্বর মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয়। কিন্তু অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্রের বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ এর যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে।

এদিকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের বিধিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক পাস নির্ধারণ করা হয়। তবে, এ বিধিমালা কার্যকর হওয়ার আগে অনেক শিক্ষক এইচএসসি নিয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮৩’ তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি , সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৯১’ তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩’ তে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি এবং পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক।

অর্থ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সব শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজেই আগের বিধিমালার আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত সকল সহকারী শিক্ষক ১৩ তম গ্রেডে বেতন পেতে পারেন বলে এ মন্ত্রণালয় মনে করে। এছাড়া ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিধিমালা জারির পরে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিধিমালা রহিত হবে। রহিতকরণ সত্ত্বেও ওই বিধিমালার অধীন যেসব কার্যক্রম নিষ্পন্ন হয়েছে তা এ বিধিমালার অধীন সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে।

তাই, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিধি জারি হওয়ার আগের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে বেতন গ্রেড-১৩ এর সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠাতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Facebook Comments
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করুন


আরো সংবাদ
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com