সাত মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) খুলছে দেশের সিনেমা হল। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, নতুন সিনেমা মুক্তি নিয়ে সংশয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অর্ধেক আসন খালি রেখে খরচ মেটানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হল মালিকরা।
রঙ ফিরছে রূপালী পর্দায়। ৭ মাসে একটিও সিনেমা মুক্তি না পাওয়া নিশ্চুপ সিনেমাপাড়ায় সাড়া মিলছে শুক্রবার বিকেলে। ফটকের ঝুলানো তালায় সুনসান হলে আবার জমবে সিনেমাপ্রেমীদের আড্ডা।
সিনেমা হল খোলার বিষয়ে এরই মধ্যে জারি হয়েছে প্রজ্ঞাপন, তবে শুরুতেই নতুন সিনেমা মুক্তি দিতে নারাজ প্রযোজনা সংস্থাগুলো।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘কেউ আর নতুন ছবি রিলিজ দিতে চাচ্ছে না। মানুষ চাচ্ছে হলমুখী হতে, এটা কাটিয়ে উঠতে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। যার ফলে পুরান ছবি দিয়েই হল শুরু করতে হবে।’
হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকের হলে আসা নিয়ে সংশয়ে নির্মাতারা।
পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ বলেন, ‘সিনেমা হলের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমা হল খোলা হবে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে সব কিছুতেই।’
নতুন সিনেমা মুক্তি না দিয়ে হলের আসন সংখ্যার অর্ধেক খালি রেখে ব্যয় মেটানো সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হল মালিকরা।
মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার নওশাদ আহমেদ বলেন, ‘ব্লক বাস্টার ছবি যদি না আসে তাহলে আমরা হল খুলবো না।’
এদিকে প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই প্রযোজক সমিতিতে চারটি নতুন সিনেমা মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন প্রযোজকরা।